অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মহেশখালীতে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ

1
bangladesh-coast-guard
ফাইল ছবি।

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ধলঘাটায় কোষ্টগার্ডেও বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ লোকজন। চা দোকান থেকে বিনা কারণে দিনমজুর লোকজনকে ধরে নিয়ে মারধর করে ছেড়ে দেয়ায় সাধারণ লোকজনের মাঝে কোষ্টগার্ড আতংক বিরাজ করছে। কোষ্টগার্ডের হয়রানীর কারণে নিরীহ বাসিন্দারা অশান্ত হয়ে পড়ছে।

গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা উত্তর মুহুরীঘোনা খন্দকারপাড়ার চা দোকান থেকে কোষ্টগার্ড সদস্যরা বিনা কারণে ৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়।

তারা হলেন, ধলঘাটা উত্তর মুহুরীঘোনা এলাকার শাহ আহম্মদের ছেলে আলীউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইলের ছেলে আয়ুব উল্লাহ, শাকের উল্লাহ, নবীর হোছনের ছেলে রহমত উল্লাহ, শাহাদাত হোসেন, আবদুল গণির ছেলে ইকবাল হোসেন, ইকবাল হোসনের ছেলে আলমগীর। খন্দকারপাড়া দোকান থেকে চা পানরত অবস্থায় তাদের আটক করে নিয়ে যায় কোষ্টগার্ড। পেশায় এরা দিন মজুর বলে জানা যায়।

আক্রান্তরা জানান, কয়লা বিদ্যুৎ বাঁধে নিয়ে গিয়ে তাদের মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় এক পদস্থ রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

স্থানীয় অধিবাসিদের অভিযোগ, মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিজিবি, আনসার ও পুলিশ নিয়োজিত থাকলেও এসব বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ নেই। শুধু কোষ্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয় কিছু সুবিধাভোগী মহলের ইন্দনে এধরনের কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

বাসিন্দারা আরো জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এই মহেশখালীতে হচ্ছে। কিন্তু কোষ্টগার্ডের হয়রানীর কারণে নিরীহ বাসিন্দারা অশান্ত হয়ে পড়ছে। তারা প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছে। আটক করে মারধরের কারণে এলাকাবাসি অেেনকেই স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারছেনা বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিজেদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে কোষ্টগার্ড মহেশখালী ষ্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবদুল কাদের টেলিফোনে জানান, কোন নিরীহ লোকজনকে কোষ্টগার্ড হয়রানী করেনি। ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধের উদ্যোগ নেয়ায় একটি পক্ষ কোষ্টগার্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

১ টি মন্তব্য
  1. Mostofa Mizan Tanvir বলেছেন

    ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত! কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় এ কে এম রেজাউল করিম ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী নবকাম পল্লী বিশ্ব বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেনীর মানবিক শাখার এক ছাত্রীকে রুপাপাত বাজারে গত বুধবার কলেজ ছুটির পরে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে কিছু বখাটে ছেলেরা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হাত ধরে টানা হেচঁড়া করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার ওই ছাত্রী কলেজ ছুটির পরে বাড়ী মোড়া গ্রামে আসার সময় রুপাপাত বাজারে প্রবেশ করলে রুপাপাত গ্রামের সোহরাব সিকদারের ছেলে মিলন সিকদার (২৫), সাইফুল শেখের ছেলে মোতাহের শেখ (২২), রায়হান ফকিরের ছেলে মারুপ ফকির (২৩), মজিবরের ছেলে মাসুদ (২৪), গুনজর মোল্যার ছেলে সাদ্দাম (২৫), ফকরুদ্দিনের ছেলে টিটুল (২৩), মমিন কাজীর ছেলে ডালিম কাজী (২৪), স্বপন মালোর ছেলে রাজিব মালো (২৫), আরশাদ খার ছেলে আহমেদ খাঁ (২২) ও জাফর মোল্যার ছেলে মহসীন (২৪) ওই কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক হাত ধরে টানা হেচঁড়া করে তুলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর সহপাঠি রবিউল ইসলাম উকিল ও মারুপ শেখ বাধা দিলে বখাটেরা তাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী দৌড়ে বাজারে উজ্জ্বল শীলের সেলুনে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয় আ’লীগ নেতা এমদাদুল হক মিলন ও তৌফিকের সাহায্যে ওই ছাত্রী বাড়িতে যায়। ঘটনার পরপরই বখাটেদের মধ্যে থেকে দুই বখাটে মেয়ের বাড়ি মোড়া গ্রামে গিয়ে মেয়ের মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বলে মেয়ের মা জানান। মেয়ের মা আকলিমা বেগম জানান, বাড়িতে আসা দুই বখাটে মোতাহের ও মারুপ হুমকি দিয়ে বলে আমাদের সাথে আপনার মেয়েকে বিয়ে না দিলে আপনার মেয়েকে মেরে ফেলবো। কোন শক্তিই বাঁচাতে পারবে না। আ’লীগ নেতা মিলন, তৌফিক ও উজ্জ্বল শীল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। নবকাম পল্লী বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রভাষক শাহাবুদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, আমার কাছে এখনও কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কোনো বখাটে ছেলেরা আড্ডা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে ওই ছাত্রীকে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন ও কলেজের অধ্যক্ষ বলে জানা গেছে।