অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নেচে গেয়ে আড্ডায় ঈদ পালন করলেন করোনা আক্রান্ত রোগী ও ডাক্তার নার্সরা

0
.

“রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” না এবার আর খুশি ঈদ আসেনি। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে এবার অন্য রকম ঈদ পালিত হয়েছে মুসলিম বিশ্বে।

.

মহামারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পরিবার পরিজনদের ছেড়ে হাসপাতালের চার দেয়ালে বন্দি আছেন করোনা যুদ্ধারা। তাদের সেবায় আছেন ডাক্তার নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকের খাতায় নাম লেখা কিছু মানবিক তরুন তরুণী।

হ্যা, বলছিলাম চট্টগ্রামের ফৌজদার হাটে বেসরকারী উদ্যেগে প্রতিষ্ঠিত করোনা বিশেষায়িত্ব হাসপাতাল চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের কথা।

.

এ হাসপাতালের রোগীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে সোমবার পালিত হয়েছে ব্যাতিক্রমী ঈদ আনন্দ উৎসব। সকালে দুটি পৃথক ঈদ জামায়াতে করোনা পজেটিভ রোগী এবং ডাক্তার নার্সরা আলাদা ঈদের নামাজ আদায় করেন। সকলের গায়ে (ছেলেদের) লাল পাঞ্জাবি আর মেয়েদের গায়ে লাল জামা ছিল আকর্ষণীয়।

দিনভর নেচে গেয়ে, গল্প-আড্ডা আর সেবার নিয়ে ঈদ উযাপন করেন রোগীরা। শুধু করোনায় আক্রান্তরা নয়, নিজেদের কষ্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে এখানকার ডাক্তার, নার্স ও সেবক নামের মানবিক কর্মীরা।

.

হাসপাতালের আইসোলেশন-০১ এর রোগী হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সাইফ পাওয়ার টেক কর্মী ৬৫ বছরের সিদ্দিক মিয়া। তিনি জানালেন, এখানকার ডাক্তার নার্সদের সেবার কারণে রোগীরা ৭০ ভাগ ভালো হয়ে যান। সেবার মান খুবই উন্নত। খাবার দাবারও অনেক উন্নত মানের। রোগীদের বিনামূলে দেয়া হয় সকল ঔষধ।

আজকের আয়োজন স্বজনদের সাথে ঈদ করতে না পারার দুঃখ কিছুটা হলে ‍ভুলতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।

হাসপাতালে একমাত্র নারী করোনা পজেটিভ রোগী ইউসিবি ব্যাংকের কর্মী শাহনুর সুলতানা লুনা জানান, এই প্রথম স্বজনদের ছাড়া হাসপাতালে কাটাতে হচ্ছে ঈদ। এমনটি কখনো কল্পনায়ও ছিল না। তারপরও বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে হাসপাতালে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে পেরে খুশি বলে জানান তিনি।

.

হাসপাতালটির প্রধান নির্বাহী ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন-আমাদের রোগীদের নিয়ে আমরা ঈদ পালন করছি এটাই আমাদের আনন্দ। এটা অন্য ধরণের আনন্দ। আজকের ঈদের দিনও একজন রোগী নেগেটিভ হয়ে স্বজনদের কাছে ফিরে গেছে এই আনন্দ ঈদের আনন্দের চেয়ে বেশি।