অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীতে সাংবাদিক, পুলিশসহ একদিনেই ৩৪ জনের করোনা সনাক্ত

0
.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় একদিনেই ৩৪ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। ৩০ মে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, বিআইটিআইডি ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি – সিভাসু হতে দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এস এম শামীম হোসাইন।
সনাক্তদের মধ্যে রয়েছেন হাটহাজারী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা সহ পুলিশের তিন সদস্য, একজন সংবাদকর্মী, হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্যকর্মী, সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার চার কর্মকর্তা এবং হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক আনসার সদস্য ও ইউএনওর সহকারী।

এছাড়াও রয়েছে ৫ বছর ও আট বছর বয়সী দুইজন শিশুও। এছাড়াও উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের নজুমিয়া হাট, মেখল ইউনিয়নের ফকিরহাট, ছিপাতলী, আমানবাজার, চিকনদন্ডী, ফতেপুর, মির্জাপুর এবং হাটহাজারী পৌরসভার আলমপুর, আলীপুর, পূর্ব দেওয়াননগর, বাস স্টেশন, কামালপাড়া এলাকায় করোনা সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সুত্র জানায়, ৩০ মে প্রাপ্ত রেজাল্ট অনুযায়ী দৈনিক সমকালের হাটহাজারী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলীর শরীরে করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। করোনা প্রকোপের শুরু থেকেই তিনি করোনা সচেতনতা ক্যাম্পেইনের প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন।

এছাড়া হাটহাজারী মডেল থানার এক এএসআই ও এক ট্রাফিক সদস্য সহ তিন পুলিশ সদস্যের করোনা সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও গাড়িচালক সহ মোট ১১ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এছাড়া হাটহাজারীর আলীপুর গ্রামের ২টি পরিবারের ২ জন শিশু সহ মোট ৬ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। পরিবারগুলোর অন্যান্য সদস্যদের এর আগে পজেটিভ সনাক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক আনসার সদস্যে এবং একজন কর্মকর্তার শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে।

এদিকে সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী বাজার শাখার আরো চার কর্মকর্তার শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। এই নিয়ে শাখাটির প্রধান ব্যবস্থাপক মিন্টু রাম দাশ সহ মোট ১৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। শাখাটির প্রায় সব কয়জন কর্মকর্তা কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছেনা। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে শাখাটি পরিদর্শন করেন এবং আপাতত শাখাটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছেন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ব্যাংকের কার্যক্রম ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে, অতি জরুরি সেবা অর্থাৎ সরকারি বরাদ্দের বিল যেগুলো উত্তোলন না করলে ল্যাপস হবে এ জাতীয় সেবা চালু থাকবে। আক্রান্ত কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ সুস্থ হয়ে ফিরে আসলে স্বাভাবিক সেবা পুরোদমে চালু হবে।

এছাড়া নিজের অফিসের কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যের করোনা সনাক্তের ব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমিন জানান, আক্রান্তরা সেল্ফ আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, অন্যদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।