অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে এক দিনেই ৪ জনের মৃত্যু

0
.

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পুলিশ কনেস্টেবল মামুন উদ্দিন (২৮), জেনারেল হাসপাতালের আয়া হাসিনা বেগম (৬০), জালালাবাদ ওয়ার্ড অফিসের হোমিও চিকিৎসক মন্টু কুমার শীল (৬০) এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তীর পিতা আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ (৭৯)।

আজ সোমবার (১ জুন) সকালে এ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তে মৃত্যু সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭৮ জন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় সিএমপির পুলিশ সদস্য মামুন উদ্দিন (২৮)।

সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) আরও এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। কনস্টেবল মামুন সিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর মামুনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি আক্রান্ত ছিলেন কিনা।”

কনস্টেবল মামুনের মৃতদেহ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর পরশুরামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিএমপির এক কমর্কর্তা জানান, জ্বর সর্দি হওয়ায় কনস্টেবল মামুনকে ২৬ মে থেকে সিএমপি স্কুলে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ২৯ মে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে রাখা হয়। সেখান থেকে সোমবার সকালে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। সোমবার পর্যন্ত সিএমপির ১৬৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, ৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

এদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে। তিনি ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক আয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।

জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম আজ সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের এক পরিচ্ছন্ন কর্মীর (আয়া) মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই নারী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। সকাল ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাছাড়া মৃত্যুর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এজমায় ভুগছিলেন বলে তিনি জানান।

একই সময়ে নগরীর বায়েজিদ থানার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মন্টু কুমার শীল (৬০) এর মৃত্যু হয়েছে।

কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু জানান, আজ সোমবার সকাল ৮টার সময় তার ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬০ বছর বয়সী এক হোমিও চিকিৎসক মারা গেছেন। তিনি বলেন, ওই চিকিৎসক জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে নিয়মিত রোগী দেখতেন। সপ্তাহ খানেক আগে তার জ্বর ও সর্দি দেখা দিলে তিনি রোগী দেখা বন্ধ করে দেন।

সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল রোগী দেখেছিলেন তিনি। গত ৩১ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। রিপোর্ট আসার আগেই আজ সকালে তার নগরীর বাকলিয়াস্থ নিজ বাসায় তিনি মারা যান।

এছাড়া শরীরে করোনাভাইরাস নিয়ে মারা গেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর বাবা আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ।

আরও খবরঃ করোনায় মারা গেলেন নগর যুবদলের সভাপতি দিপ্তীর বাবা

আজ সোমবার (১ জুন) সকাল ৯টার  আকবরশাহ এলাকার নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

মোশারফ হোসেন দিপ্তী জানান, বাধক্যজনিত রোগে তার পিতা দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর আমি নিজেও করোনা আক্রান্ত হই। আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি।