অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিতে চট্টগ্রামকে লকডাউনের আওতায় আনতে হবে

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকারের উদাসিনতা ও এক গুয়েমীর কারণে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে দিন দিন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে জনজীবন হুমকির মুখে পড়ছে। সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবেলার চেয়ে নিজেদের একতরফা রাজনৈতিক ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জোর করে নিয়েছেন, তাঁরা জনগণকে কোনো মূল্য দেন না, তাঁদের কাছে অনেক বেশি মূল্য হচ্ছে ব্যবসা, তাঁদের কাছে অনেক বেশি মূল্য হচ্ছে তাঁদের সো-কলড প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর। কোনটাই বাড়বে না, সবকিছু নিচে নেমে যাচ্ছে এবং ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। বর্তমান অবস্থা সরকার তৈরি করেছে এবং এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিার (৪ জুন) সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব ক কথা বলেন।

জনগণের পক্ষে যেসব দাবি তোলা হচ্ছে কোনো কিছুই সরকার দৃষ্টিপাত করছে না দাবী করে তিনি বলেন,  একলা চলো নীততে চলেছে সরকার। জীবন ও জীবিকার মধ্যে কৃত্রিম দ্বন্ধ তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রকেই জীবিকার দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারের সক্ষমতা থাকতেও তারা তা করেনি। জীবিকার প্রশ্নে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দায় সেরেছে। নতুন করে সাধারণ ছুটি না দিয়ে লকডাউন করার আহবান জানিয়ে বলেন প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তারপরও সরকার অদৃশ্য কারণে নীরব রয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে সরকার চরে খাও, বাঁচলে বাঁচো, মরলে মরো নীতি গ্রহন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ৩২০ জন রোগী ভর্তি করানোর ব্যবস্থ্যা আছে। প্রতিদিন ২০০ জনের অধিক নারী পুরুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে পর্যাপ্ত রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না এবং যারাই ভর্তি হচ্ছে তারা অক্সিজেন ও আইসিইউ বেডের সংকটে সমস্যার সম্মুখনি হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন বেড ও অক্সিজেন বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজনে আবাসিক হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থ্যা করতে হবে। পাশাপাশি করোনা নমুনা সংগ্রহ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফলাফলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিদিন চিকিৎসক, সাংবাদিক, নার্সসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, অনেকে মৃত্যু বরণ করছে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে। এদের সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।