অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে চাদাঁ না পেয়ে খামারীর ঘর ভাঙ্গচুরের অভিযোগ

0
.

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ের মুসা কলোনী সংলগ্ন আমতল এলাকায় এক খামারী থেকে চাঁদা দাবী করে না পেয়ে খামার ভাঙ্গচুর করে ছাগল চুরি করে নিয়ে গেছে স্থানীয় দুবৃর্ত্তরা। তারা খামারীকে হত্যা চেষ্টা চালায়।

ঈদের আগে থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের ছেলেসহ একদল সন্ত্রাসী বাড়কুণ্ডের চৌধুরী পাড়ার জালাল আহম্মদের ছেলে খামারি সাদ্দাম এর কাছে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় খামারির ছাগল পালনের ঘরটি ঈদের দিন দুপুরে ভাংচুর করে।

এতে খামারের কেয়ারটেকার চাঁন মিয়ার ছেলে কায়ছার (২৫) বাধা প্রদান করলে তার উপর হামলা করে গুরুতর অবস্থায় রেখে খামার থেকে ৬টি ছাগল নিয়ে চলে যায়। এবিষয়ে সাদ্দাম জানান, অনেক কষ্টের বিনিময়ে কিস্তির টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করে খামারে ৩০টি ছাগল ও একটি ঘোড়া নিয়ে খামার চালু করি। খামারটি চালু করার পর থেকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬নং মহিলা সদস্য পারুল আক্তারের ছেলেসহ একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা দাবি ও না দিলে খামার ছেড়ে চলে যেতে বলে আসছিল। চাঁদা না দেওয়াতে আমি ও আমার কর্মচারী উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রসস্ত্রসহ কর্মচারীর ছেলেকে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে। আমার খামার ঘরটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কেটে তছনছ করে খামার থেকে ৬টি বড় ছাগল নিয়ে যায় সন্ত্রসীরা। প্রাণে রক্ষা পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে এবিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।

ঈদের দিন আমি দীর্ঘক্ষণ থানায় অবস্থান করার পর ডিউটি অফিসার বলেছেন, আজ ঈদ কোন মামলা নেওয়া হবে না। আজ বৃহস্প্রতিবার (৪এপ্রিল) আবারো চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে প্রকাশ্যে হত্যার করার হুমকি দিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী।

এবিষয়ে জানতে মহিলা সদস্য পারুলকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, চাঁদা দাবি ও ছাগল চুরির বিষয়টি সঠিক না, তবে আমার ছেলেসহ এলাকার লোকজন তার যে ঘর ভেঙ্গেছে সেটি মদ তৈরি করার ঘর। তবে ঘর ভাঙ্গার বিষয়টি বিচার করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হবে।