অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পাবনায় গুলি করে ও কুপিয়ে ২ জনকে হত্যা

0
.

পাবনায় পৃথক ঘটনায় এক বৃদ্ধকে গুলি ও এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। শনিবার ভোরে জেলার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ও আতাইকুলা থানার মধুপুর পদ্মবিলা এলাকায় এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।নিহতরা হলেন, আতাইকুলা থানার মধুপুর পদ্মবিলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মজনু মিয়া (৪০) ও ভাঁড়ারা খা পাড়ার মৃত কালু খার ছেলে হুকুম আলী খা (৭০)।

পাবনা সদর সাকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দু’টি ঘটনাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তবে রাতেই পদ্মবিলার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছেন পুলিশ।

এদিকে, পাবনা শহরের দিলালপুরে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন না হতেই তার পরদিনই এই ডাবল হত্যাকাণ্ডের কারণে পাবনার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদের সাথে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সুলতান আহমদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর রাতে সুলতানের বাবা লষ্কর খা ও চাচা আব্দুল মালেককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, সম্প্রতি হুকুম আলীর নাতী রবিউল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় গত ৪ জুন স্থানীয় ১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হুকুম আলী। সেই মামলার জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানা যাবে।

অপরদিকে, সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার মধুপুর গ্রামে মজনু মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

আতাইকুলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, ‘রাতে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে তাস খেলে বাড়ি ফিরছিলেন মজনু। পথিমধ্যে পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে ঘাড়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মজনু মিয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুরে একটি বাড়ি থেকে শুক্রবার দুপুরে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের একটি একতলা বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুল জব্বার (৬৭), তার স্ত্রী মোসা: ছুম্মা খাতুন (৫৮) ও মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা খাতুন (১৪)। এ ঘটনার কোনো ক্লু এখনো উদঘাটিত হয়নি।