অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

করোনা উপসর্গে মারা গেলেন সীতাকুণ্ড থানার এস আই একরাম

0
.

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
করোনার উপসর্গে মারা গেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল ইসলাম (৪৫)।

আজ শনিবার (৬জুন) সকালে ভাড়া বাসায় তিনি মারা যান। চারদিন ধরে তিনি সর্দি ও জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি পৌরসদরস্থ উত্তর বাজারের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার কাঠালিয়া এলাকায়।

থানা সূত্রে জানা যায় সীতাকুন্ড পৌরসভার উত্তর বাজারে ভূইঁয়া টাওয়ার নামের একটি ভবনের ব্যাচেলর বাসায় থাকতেন এসআই ইকরাম। গত ২ জুন থেকে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খাচ্ছিলেন। আজ সকাল ১০টার দিকে একই ফ্ল্যাটের অন্য দুজন তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গেলে অচেতন অবস্থায় মুখে ফেনা দেখতে পান। থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।করোনা পরীক্ষার জন্য লাশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। চার দিনেও জ্বর না কমাতে আজ করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার কথা ছিল এসআই ইকরামের।

সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, নিহতের মুখে ফেনা ছিল। এ কারণে প্রাথমিকভাবে স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি যেহেতু জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিলেন তাই করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) সুমন বনিকসহ ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ঘোষিত করোনা পরীক্ষার ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় জানান, শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে মোট ৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, আক্রান্তদের মধ্যে দুজন সীতাকুণ্ড মডেল থানার সদস্য। এদের মধ্যে একজন ওসি ইন্টেলিজেন্স সুমন বণিক। সীতাকুণ্ড উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১২৩ জন, সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৫৩ জন। হোম আইসোলেশন এ থাকা ৪০ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২০ জন। করোনাই আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে সর্বশেষ এই পুলিশ সদস্য সহ ৭ জন। এর আগে কুমিরা হাইওয়ে থানার তিন পুলিশ সদস্য করোনাই আক্রান্ত হয়েছে।