অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম বন্দরে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আমাদানীকৃত পণ্য জব্দ

0
.

ঘোষণা বহির্ভূত ও অতিরিক্ত পণ আমদানী করে সরকারে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরে আটক করা হয়েছে একটি চালান। চট্টগ্রাম কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ আজ কায়িক পরীক্ষা শেষে চালানটি জব্দ করার ঘোষণা দেয়।

শুল্ক গোয়েন্দার অভিযোগ, আমদানি নথিতে সস, মটরশুঁটি ও চকলেট ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে ঘোষিত পরিমানের অতিরিক্ত এবং পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চশুল্কের খাদ্যদ্রব্য। চালানটি আটক করেছে আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ এনেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের, জেবুন্নেসা রোডের ৬০৪/৬০৯ কর্ণফুলী টাওয়ার ঠিকানার জিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের নামে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে শেখ মুজিব সড়কের ৯৩৬ আহমেদ ম্যানশনের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইস্টার্ন এন্টারপ্রাইজ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কাস্টম হাউসে চালানটি খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি (নম্বর সি-৩২১৮০৩) দাখিল করেন।

আমদানি নথিতে ৪ হাজার ৯৫৬ কেজি সস ঘোষণা দেয়া থাকলেও এর বিপরীতে চালানটিতে মিলেছে ৫ হাজার ৭৯ কেজি সস । ১৩ হাজার ৭৯০ কেজি মটরশুঁটি ঘোষণার বিপরীতে পাওয়া ২৪০ কেজি এবং ১ হাজার ২৯৬ কেজি, চকোলেট ঘোষণার বিপরীতে পাওয়া ৮ হাজার ৬০৪ কেজি চকোলেট । এছাড়া আমদানির ঘোষণা না দিলেও আনা হয়েছে অর্গানিক মিক্সড নাটস ১ হাজার ৮৬০ কেজি, চুইংগাম ১৬ হাজার ২৫২ কেজি, নুডুলস ৩৯২ কেজি এবং উচ্চশুল্কের এনার্জি ড্রিংকস ১০ হাজার ৬৪৮ লিটার ।

কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার নূর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া বলেন, চালানটির বিষয়ে অনিয়মের গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেসটিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখা কর্তৃক প্রথমে লক করা হয় । আজ সোমবার এআইআর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে জালিয়াতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। হিসাব করে প্রাথমিকভাবে আমদানিকারকের ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা নির্ণয় হয়েছে।