অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে “কর্ণফুলী-১৩” লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ কিশোরীর

0
.

ইজ্জত বাঁচতে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক কিশোরী।  অথচ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কিশোরী (১৬) কে ঊদ্ধার না করে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। অবশেষ তিন ঘণ্টা পানিতে ভেসে থাকলে জেলেরা উদ্ধার করে জীবন বাঁচালো সেই কিশোরীর। বতর্মানে ওই তরুণী তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিশোরী উপজেলার বিছিন্ম তেলিয়ার চরের মোঃ কবিরের মেয়ে। ঘটনাটি ঘটে ঢাকা-ভোলার বেতুয়া নৌরুটে চলাচলকারী কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে।

হাসপাতালে ভর্তি কিশোরী বলেন, কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তজুমদ্দিন স্লুইজঘাট থেকে কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চে উঠার পর লঞ্চের ষ্টাফরা তাকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাবের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে তাদের সাথে কেবিনে রাত্রি যাপন করতে টানাটানি করে। এক পর্যায়ে ইজ্জত রক্ষার্থে কিশোরী নদীতে ঝাঁপ দেন।

কিশোরী আরও জানান, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করতে একটি বয়া ফেললেও পানির স্রোতে বয়া ধরতে পরেনি সে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায় লঞ্চটি। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে কিশোরী তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

কিশোরীকে উদ্ধার করা নৌকার জেলে রায়হান বলেন, সন্ধার সময় আমরা নদীতে মাছ ধরার জন্য নৌকা প্রস্তুত করছিলাম হঠাৎ নদীর মাঝে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে আমরা তাকে উদ্ধার করে দেখি মেয়ে। পরে তাকে মিজান তালুকদারসহ অন্যরা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ রুবেল জানান, আমি লঞ্চের উপরে ছিলাম পরে শুনছি লঞ্চ থেকে একজন মহিলা পানিতে লাফ দিয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা একটি বয়া ফেলছি সে বয়া ধরতে পারেনি। আমরা ঢাকায় চলে যাই পরে কি হয়েছে জানি না।

তজুমদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শামীম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরীর সাথে কথা হয়েছে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল জানান, রোগীর ভাষ্যমতে তাকে লঞ্চের ষ্টাফরা অনৈতিক প্রস্তাব দিলে সে নদীতে ঝাপ দেয়ার সময় ডান হাতে আঘাত পায়। জেলেরা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে তার অবস্থা ভালো রয়েছে। সুত্র: আমাদের নতুন সময়।