সংসদ সদস্য পদ হারাচ্ছেন বদি?
দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাসীন দলের নেতা আবদুর রহমান বদি এবার সংসদ সদস্য পদও হারাতে পারেন।
বুধবার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. ফজলে রাব্বি সংবাদিকদের বলেন, অনৈতিক কারণে সাজা হলে এমপি পদ বাতিল হওয়ার বিধান রয়েছে। তাছাড়া কোনো ব্যক্তির যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয় তাহলেও তার এমপি পদ বাতিল হতে পারে।
সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদে রয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, তিনি যদি নৈতিক স্থলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া কমপক্ষে দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।’
আর জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যকে তাহার পদে থাকার অযোগ্য মনে হইলে জাতীয় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ বিষয়ে জানানোর জন্য স্পিকার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চিঠি দিবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতেও দণ্ড বহাল থাকলে আগামী সংসদ নির্বাচনেও তিনি অংশ নিতে পারবেন না। সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যাপ্রণালি বিধি অনুযায়ী তিনি নৈতিক স্থলনজনিত কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে তার।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের এক কর্মকর্তারা বলেন, বদির এমপি পদ বাতিল হবে কিনা- এটা এখনও বলা যাচ্ছে না। কারণ তিনি যদি আপিল করে জিতে যান তাহলে তার এমপি পদ বাতিল হবে না। তবে আপিলেও হেরে গেলে তিনি সব হারাবেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহম্মেদ জমাদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন। নিজের ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৩ টাকার সম্পদ গোপন করার অপরাধে দুদক আইনের ২০০৪ সালের ২৬(২) ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই কারাদণ্ড দেন।