অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরীতে শিশুকে জবাই করে হত্যার পর খুনি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

0
বন্দুকযুদ্ধে নিহত শিশু মেহেরাব হত্যার আসামী জসিম উদ্দিন রাজু।

চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় ৩ বছরের শিশু মেহেরাবকে জবাই করে হত্যার কয়েক ঘন্টার মাথায় হত্যাকারী জসিম উদ্দিন রাজু (৩২) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার জোড় ডেবার পূর্ব পাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।  গোলাগুলির ঘটনায় এডিসি পশ্চিম ও ওসি ডবলমুরিংসহ ৫ পুলিশ আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি এলজি, একটি কার্তুজ, ৪ রাউন্ড গুলির খোসা, একটি ধারালো (ফোল্ডিং) ছুরি ও ৮৭৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুদীপ কুমার দাশ পাঠক ডট নিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে হাজীপাড়ার জলিল ম্যানসন বাড়ীতে আসামী জসিম উদ্দিন রাজুর সাথে তার ছোট ভাইয়ের বউ নিলু আকতারের ঝগড়া হয়।  এসময় রাজু আপন ভাতিজা নিলুর ছেলে মেহেরাব (০৩)কে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

আহত ৪ পুলিশ অফিসার।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২ টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেকের মর্গে পাঠায়। নিহত শিশু ওই এলাকার জলিল ম্যানসনের মো. রাশেদের ছেলে। পরে রাতেই নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় জেঠা জসিম উদ্দিন রাজুকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামী ধরতে অভিযানে বের হয়।

ওসি সুদীপ কুমার বলেন, অভিযানের এক পর্যায়ে পুলিশ পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার জোড় ডেবার পূর্ব পাড়ে গেলে সেখানে সহযোগীদের নিয়ে অবস্থান করা রাজু তার বাহিনী নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং গুলি বর্ষন শুরু পাল্টাগুলি চালালে দুপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে শিশু মেহেরাব হত্যার আসামী রাজু নিহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়।  এসময় ঘটনাস্থল থেকে এলজিমগুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত আসামী জসিম উদ্দিন রাজুর বিরুদ্ধে হালিশহর, ডবলমুরিং ও বন্দর থানায় অস্ত্র, মাদক, সন্ত্রাস ও জন নিরাপত্তা আইনে ১৩টি মামলা রয়েছে।

এদিকে ভোরে দেয়া পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বন্দুকযুদ্ধে সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির, ওসি সুদীপ কুমার দাশ, ওসি (তদন্ত) মো. জহির হোসেন, এসআই অর্ণব বড়ুয়া, এসআই হেলাল উদ্দিন আহত হয়েছেন।