অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

উত্তরাঞ্চলে শীতের আগমনী বার্তা

1

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

phulbarite-sheet-k-baron-karar-prostuti-04-11-20161
ভোরের কুয়াঁশাচ্ছন্ন আকাশ জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। ছবিটি উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় থেকে তোলা।

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় সকালে গাছ গাছালিতে জমে থাকছে শিশির। সূর্য উঠার অনেক পর পযন্ত জমে থাকা শিশির দেখা যচ্ছে। শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। বিকাল থেকেই শীতল হাওয়া আর সন্ধ্যার পর পরই কুয়াঁশা ঝরতে শুরু করেছে । মধ্য রাতের পর টিনের চালা থেকে পড়ছে হালকা বৃষ্টির মত পানি । এদিকে শীতের প্রস্তুতি হিসেবে অনেকেই পুরনো শীত বস্ত্র ঠিক ঠাক করে নিচ্ছেন । আবার অনেকে নতুন করে লেপ-তোষক তৈরী করে নিচ্ছেন । প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত নিবারণের একমাত্র অবলম্বন কাঁথা। এসব পরিবারের নারী সদস্যরা এখন কাজের ফাঁকে তাদের পুরনো কাঁথা মেরামত আর ছেঁড়া শাড়ি -লুঙ্গি দিয়ে নতুন কাঁথা তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

হিমালয়ের কাছের দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় শীত নামে বেশ আগে ভগেই । এবারো এর ব্যতয় ঘটেনি। কার্তিকের শুরু থেকেই শুরু হয়েছে হালকা কুয়াশা । ক্রমেই তা ভারি হচ্ছে। ক’দিন থেকে সন্ধ্যার পরই শুরু হয়েছে মাঝারি কুঁয়াশা। ভোর পযর্ন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াঁশার পরিমান বেড়ে যাওয়ায় সকালে সূর্য উঠার পরও জমির আইল দিয়ে হাঁটলে শরীর ভিজে যাচ্ছে। শীষ বের হওয়া আমন ধানের গাছ সূর্য উঠার অনেক পর পর্যন্ত শিশির লেগে থাকছে।

phulbarite-sheet-k-baron-karar-prostuti-04-11-20162
লেপ তোষক তৈরীতে ব্যস্ত স্থানীয় কারিগররা।

এখন ফুলবাড়ীর সর্বত্র চলছে শীতকে বরণ করার প্রস্তুতি। শীতের রাতে বিছানায় পরিবারের সদস্যদের উষ্ণ রাখতে সবাই ব্যস্ত লেপ-তোষক মেরামত আর নতুন করে তৈরী করতে। এজন্য ফুলবাড়ী শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে এসব তৈরীর কারিগরদের কাজের গতি বেড়ে গেছে। তাদের এখন দম ফেলাবার ফুরসত নেই। ফুলবাড়ী শহরের নিমতলা মোড়, বাজার রোড সহ বিভিন্ন লেপ-তোষক তৈরীর দোকানগুলোতে দেখা গেছে সব কারিগর ব্যস্ত নতুন লেপ তৈরীতে। কথা বলার সময় নেই তাদের। কয়েক মাস তাদের হাতে কাজ না থাকায় মৌসুম শুরু হওয়ায় দ্র্বত কাজ করে তারা বাড়তি টাকা আয় করছেন। আর যাদের এগুলো তৈরীর সার্মথ্য নেই, তারা ব্যস্ত কাঁথা নিয়ে। শীত নিবারণের জন্য এটাই তাদের বড় উপকরণ।

উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার ঘুরে দেখা গেছে ,অনেক নারী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাদের পুরনো কাঁথা নতুন করে শেলাই করতে। বাড়ির পাশে গাছের নিচে বসে রং বেরঙের সুতো দিয়ে তারা তৈরী করছেন নতুন কাঁথা । সারা বছর ব্যবহারের পর ছিড়ে যাওয়া শাড়ি আর লুঙ্গি দিয়ে তৈরী হচ্ছে এসব কাঁথা । অপেক্ষাকৃত উচুঁ জমিতে কৃষকরা আবাদ করেছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি । শাক-সবজি ইতিমধ্যে হাট-বাজার গুলোতে উঠতে শুরু করেছে । শীতের শাক-সবজির দামও বেশ ভাল । হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখেও।

১ টি মন্তব্য
  1. AK Azad বলেছেন

    অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল