অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আগ্রাবাদে মারুফের রহস্যজনক মৃত্যুর প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবী নগর বিএনপির

0
.

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ডবলমুরিং থানা পুলিশের অভিযান চলাকালীন সময়ে মারধরের ঘটনায় সালমান ইসলাম মারুফ নামের এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

আজ শনিবার (১৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য পুলিশকে এতো বেশী সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দিয়েছে যে,পুলিশ যখন যা ইচ্ছা তাই করছে। যাকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হেনস্তা করছে। তারা এখন পুলিশের নিয়ম নীতি ও আইনের তোয়াক্কা করছে না। তারই সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ আগ্রাবাদের ঘটনা। যার কারনে একটি সম্ভাবনাময় ছেলেকে অসময়ে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে।

আরও খবর- আগ্রাবাদে পুলিশের হাতে নারী লাঞ্চিত, প্রতিবাদে যুবকের আত্মহত্যা

নেতৃবৃন্দ বলেন, মারুফের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে, কিন্তু এধরনের অনৈতিক কাজের জন্য ক্লোজড করাতো চুড়ান্ত বিষয় নয়। আসলে বর্তমান অনির্বাচিত সরকার পুলিশ নির্ভর সরকার। ভোট ডাকাতির সরকার হওয়ায় জনগনের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। তারা জনগনের তোয়াক্কা করেনা। তাই পুলিশকে বেশী ক্ষমতা দেওয়ায় তারা যা ইচ্ছে তা করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার বিগত বার বছরে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীদের পুলিশে নিয়োগ দিয়েছে। যারা এক সময় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলো তারা এখন পুলিশে এসেও দেশের আইন কানুন ও পুলিশের নিয়মনীতি মানছেনা। আগ্রাবাদের ঘটনা এর একটি নমুনা মাত্র। তবে সব পুলিশ সদস্যই যে অনৈতিক তা নয়। পুলিশকে হতে হয় জনগনের বন্ধু। বর্তমান করোনাকালিন সময়ে পুলিশের যে আচরণ, যে মানবিক ভূমিকা সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যেসব পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আমরা সমবেদনা জানায়। আগ্রাবাদের ছাত্রদল নেতা মীর সাদেক অভির হত্যাকারীদের ডবলমুরিং থানা পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করায়ও আমরা স্বাগত জানায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অসাধু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা তাদের অনৈতিক সুবিধার জন্য সোর্স নিয়োগ করে। এই সোর্সদের কারনে নিরিহ মানুষ হয়রানীর শিকার হয়। তাই থানা পুলিশের সোর্স প্রথা বাতিল করতে হবে।
ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

নেতৃবৃন্দ নিরিহ মারুফের আত্বার মাগফেরাত কামনা করে তার শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং মারুফের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্ররোচনাকারী দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান।