‘সমাজ-অন্তপ্রাণ ও দেশদরদি সাংবাদিক হেলাল হুমায়ুনকে ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা বৈষয়িক লালসার সংকীর্ণতা কখনো কলুষিত করতে পারেনি। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সারা জীবন মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে উপকার করেছেন বলেই তিনি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। হেলাল হুমায়ুনকে স্মরণ করার চাইতে তাকে অনুসরণ করা বেশি প্রয়োজন।’
আজ ৪ নভেম্বর শুক্রবার সিএমইউজে মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) আয়োজিত দৈনিক নয়াদিগন্ত চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ সাংবাদিক হেলাল হুমায়ুনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনের অধিকারী হেলাল হুমায়ুন দীর্ঘদিন রোগে ভুগে গত ৩০ অক্টোবর ৬০ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন।
সিএমইউজে সাংগঠনিক সম্পাদক মজুমদার নাজিম উদ্দিনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে হেলাল হুমায়ুনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সুহ্নদরা বক্তব্য দেন। তারা তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির (চমেসাস) সভাপতি ইসকান্দর আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি শামসুল হক হায়দরী, সিএমইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ সেলিম, মাহাবুবুল মওলা রিপন, মোহাম্মদ তোয়াহা, এস এম জাহিদুল হক, রফিকুল ইসলাম সেলিম, নুরুল মোস্তাফা কাজী, ইকবাল করিম রিপন, শাহনেওয়াজ রিটন, এম ওসমান গনী, মোহাম্মদ হোসাইন, ছগির আহমেদ, ফজলুর রহমান, ওমর ফারুক, জীবন মুছা, ডা: বাবুল ওসমান, নজরুল একাডেমীর চট্টগ্রাম সভাপতি ফরিদা করিম ও হেলাল হুমায়ুনের ছেলে আব্দুল্লাহ গালিব আল হিলালী প্রমূখ।
হেলাল হুমায়ুনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে স্মরণ সভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন তার শ্বশুর ওয়াকিল আহমদ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, দরদী ও নির্লোভ হেলাল হুমায়ুন ছিলেন গণমানুষের সাংবাদিক। তিনি আজীবন দেশ ও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বর্তমান সংকটকালে তার মতো সাংবাদিকের খুবই প্রয়োজন ছিল।
বক্তারা বলেন, বর্তমান দু:সময়ে সৎ, সাহসী ও গণমুখী সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত হলেন হেলাল হুমাযুন।
শোক সভায় সিএমইজে সভাপতি শামসুল হক হায়দরী বলেন, হেলাল হুমায়ুন ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ সাংবাদিক নেতা। সাংবাদিকদের কল্যাণে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। সাংবাদিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে তিনি ছিলেন সদা সোচ্চার। তিনি কারো বিপদের কথা শুনলে স্থির থাকতে পারতেন না।
সভাপতির বক্তব্যে চমেসাস সভাপতি ইসকান্দর আলী চৌধুরী বলেন, হেলাল হুমায়ুন ছিলেন নীতি-আদর্শের একজন সাংবাদিক। তিনি কোনদিন লোভ-লালসার মধ্যে পড়েননি। তিনি ছিলেন পরোপকারি সজ্জন ব্যক্তি। সাংবাদিকদের যে কোন সংগ্রামে হেলাল হুমায়ুনকে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছি। হেলাল হুমায়ুনকে স্মরণ করার চাইতে তাকে অনুসরণ করা বেশি প্রয়োজন।
সিএমইউজে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহনওয়াজ বলেন, হেলাল হুমায়ুনের স্মৃতি শুরু করা গেলেও শেষ করা যায় না। তিনি গণমানুষের নেতা ও একজন সুপ্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক নেতা ছিলেন। সাংবাদিকদের আশ্রয়স্থল ছিলেন। স্বাধীন গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের জন্য তিনি কাজ করেছেন। তার স্মৃতি নিয়েই আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত।
অনুসরণ না করে অনুকরণ করাই শ্রেয়-