ঈদে দাদুর বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন শিশু আহনাফ
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কোরবানির ঈদে পটিয়ার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সৈয়দ আহনাফ মোরশেদ নামে ৩ বছরের এক শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শিশু সৈয়দ আহনাফ উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈকাড়া এলাকার প্রকৌশলি মোরশেদ উল্লাহর ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈকাড়া এলাকার প্রকৌশলি মোরশেদ রমজানের ঈদে করোনার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসতে না পারলেও এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে স্বপরিবারে আসেন। ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে কোরবানির পশুর জবাই করে সবাই যখন মাংস কাটাকাটি নিয়ে ব্যাস্ত ঠিক তখনই মোরশেদের শিশু সন্তান আহনাফ সবার অজান্তেই ঘরের বাইরে গিয়ে পাশ্বের পুকুরে পড়ে গিয়ে ডুবে যায়। এক পর্যায়ে তার মা শিশুটিকে না দেখে খোঁজাখুজি করতে থাকেন তখন দেখতে পান শিশুটির নিথর দেহ ভাসতে।
পারিবারিক সূত্রে জানায়, তিন দিন আগে চট্টগ্রামের বাসা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আসেন সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ। শনিবার সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে গরু কোরবানি দিয়ে মাংস কাটায় ব্যস্ত ছিলেন মোরশেদ উল্লাহসহ পরিবারের সবাই। এ সময় ছোট ছেলে আহনাফ ঘর থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পেছনের পুকুরে আহনাফকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ অবস্হায় শিশুটি বেঁচে আছেন এমন আশায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানেও তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে ঈদের দিন নিষ্পাপ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রকৌশলী মোরশেদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সৈয়দ আহনাফ সবার ছোট।
বরলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম বলেন, প্রকৌশলী মোরশেদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সৈয়দ আহনাফ সবার ছোট। ঈদের দিনে তার এমন মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।