অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

একে খাঁন আজম নগর বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে স্বামী-স্ত্রীসহ নিহতের সংখ্যা ৩

0
.

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার একে খাঁন এলাকার একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ৩ জনের লাশ উদ্ধার ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করেছে।

আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতরা হলেন-আবু তাহের (৬০), তার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৫০) ও মেয়ের ঘরের ১৮ মাসের নাতি রাশেদ। রাশেদের মায়ের নাম আহেলা বেগম ও পিতার নাম রুবেল আহমদ।

গতকাল শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাতে একে খাঁন ইস্পাহানি গেট সংলগ্ন আজম নগর বস্তিতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের আটটি গাড়ি।

.

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের প্রধান ডিএডি ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও খবর: একে খাঁনের বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: নিহত ২

নিহত আবু তাহের ও আয়েশা বেগমের বড় ছেলে মো. বাবুল বলেন , আমার মা-বাবা-দুই ভাই ও ২ বোন এই বস্তিতে থাকতেন। আমার ছোট বোন আহেলা বেগমের একমাত্র ছেলে রাশেদ আমার মায়ের বুকের মধ্যেই আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ঘরের চারদিকে আগুন লেগে যাওয়ায় বের হতে পারেনি। আমার মা-নাতিকে বুকে নিয়ে বের হওয়ার জন্য এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করেছেন।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৭টার দিকে আজম নগর বস্তিতে আগুন লাগে। আগুনের তীব্রতা ছিল বেশি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর এক নারী ও এক শিশুসহ ৩ জনের পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম জানায়, আগুনের খবর পেয়ে নগরীর বিভিন্ন স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ৮টি গাড়ি ২ ঘন্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা রান্নার চুলার থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বস্তির বাসিন্দারা জানান, আগুনে আজম নগর বস্তিতের অর্ধ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। ৩ জনের মৃত্যু ও অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।