অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে পাহাড় কাটছে সিডিএ

1

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

unnamed
সীতাকুন্ড উত্তর সলিমপুর ও জঙ্গল ভাটিয়ারীতে এভাবে বুলডোজার লাগিয়ে পাহাড় কেটে সমান করছে সিডিএ।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর সলিমপুর, ভাটিয়ারী ও জঙ্গল ভাটিয়ারী মৌজা নিয়ে সিডিএ মামলা নং-১/১৯৮০-৮১ সালে ১শত ২২ একর ৭৬ শতক জায়গা ভূমি অধিগ্রহন করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)র নামে। সরকারিভাবে অধিগ্রহণের দীর্ঘ সময় চলে গেলেও এ অঞ্চলে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া এখনো লাগেনি। তবে এ অঞ্চল সমতলের পাশে পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় পাহাড় খেকোরা কয়েকদিন পর পর পাহাড় কাটার মহোৎসব চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পাহাড় কাটছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটলেও সিডিএ’র বিরুদ্ধে কখনো কোন ব্যবস্থা নিতে কাউকে দেখাযায়নি।

অথচ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইমারত আইন (সংশোধনী) ১৯৯০ অনুযায়ী চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সরকারেরঅনুমোদন ব্যতীত পাহাড় কর্তন একটি দন্ডনীয় এবং জামিন অযোগ্য অপরাধ। বে-আইনীভাবে পাহাড় কর্তনকারীদেরকে বিনা ওয়ারেন্টে আটক, কর্তন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি মালামাল সহ ইত্যাদি জব্দ করে ফৌজদারী আদালতে সোপর্দ করার ক্ষমতা উক্ত আইনের “১০-এ” ধারায় পুলিশ প্রশাসনকে প্রদান করা হয়েছে। এই আইনের ১২ ধারা জামিন সহ সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বছরের কারাদন্ড ব্যবস্থা রয়েছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূইয়াঁ বলেন, আসলে এসব বিষয় আমি অবগত নই, তবে খুব শীঘ্রই আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

ফৌজদারহাটে পাহাড় কাটার বিষয় জানতে (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

পাহাড় কাটার বিষয়ে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাসুদ করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সিডিএ কে পাহাড় না কাটার নির্দেশ প্রদান করেছি, আর সরকারি-বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান পাহাড় কাটতে পারবে না, কেউ যদি নিজেরা নিজেদের খেয়াল খুশি মত পাহাড় কাটে তাদের অবশ্যই কৈফিয়ত দিতে হবে এবং আইনের আওতায়ও আসতে হবে।

ইতিমধ্যে সিডিএ’র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং এ বিষয়ে তদন্তের জন্য সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। পাহাড় কাটার সংবাদ সংগ্রহে গেলে প্রবেশ মুখে বলা হয় এখানে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ, সাংবাদিক ঢুকতে হলে সিডিএ এর অনুমতি লাগবে। এছাড়া প্রায় সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ করা হয় এমনকি ক্যামেরা কেড়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।

১ টি মন্তব্য
  1. Shahed Akboer বলেছেন

    পরিবেশ অধিদপ্তর কই