অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ইরাকে পাচারকালে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে ৫ জনকে উদ্ধার

0
10-11-16
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে কাতার হয়ে ইরাকে পাচারকালে ৫ জনকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে কাতার হয়ে ইরাকে পাচারকালে ৫ জনকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭। বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় র‌্যাব এ অভিযান চালায়।

র‌্যাবের সহকারী পরিচালক মিডিয়া (এএসপি) সোহেল মাহমুদ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা ৫ জন হলো- মোঃ তুহিন ইসলাম (২৬), পিতাঃ রহমান মোল্লা, গ্রামঃ আনন্দপুর, থানাঃ সদর, জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ, সজিব আহমেদ (৩০), পিতাঃ সামছুদ্দিন আহমেদ, গ্রামঃ গোপালপুর বাজার, থানাঃ বারহাট্রা, জেলাঃ নেত্রকোনা, মোঃ রাসেল ঢালী (২৭), পিতাঃ তাফিজ ঢালী, গ্রামঃ আনন্দপুর, থানাঃ সদর, জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ, মোহাম্মদ সোহাগ (৩২), পিতাঃ তাফিজ তাতী, গ্রামঃ আনন্দপুর, থানাঃ সদর, জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ, ও মোঃ রিপন (২৩), পিতাঃ শহিদুল্লাহ বেপারী, গ্রামঃ আনন্দপুর, থানাঃ সদর, জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ।
র‌্যাব জানায়, গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে দুবাইগামী এয়ার এরাবিয়া দুটি ফ্লাইটে অবৈধভাবে লিবিয়াগামী ৩৯ জনকে পাচারকালে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বুধবার রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কাতারগামী এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইট কতিপয় লোক অবৈধভাবে কাতার হয়ে ইরাক যাচ্ছে।

এ তথ্যের ভিক্তিতে র‌্যাব দল বিমান বন্দরে অভিযান চালিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ৫ জনকে উদ্ধার করলেও পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি।

এসময় ৫ জনের ব্যাগ তল্লাশী করে পাসপোর্টসহ কাতারের ভিসা এবং তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ইরাকের ৫টি ভিসার কাগজ পাওয়া যায়।
উদ্ধারকারীরা র‌্যাবকে জানায়, তাদেরকে পৃথক পৃথক ভাবে বিভিন্ন এলাকা হতে দালালদের মাধ্যমে ইরাক নেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার ফকিরাপুলস্থ ছায়ানীড় হোটেলে উঠানো হয়। পরবর্তীতে দালাল রবিউল (৩২), ঢাকা এসে এদেরকে ভিসা এবং পাসপোর্ট দিয়ে যায়। বিমানের টিকিট পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, এদের যাতায়াতের রুট হল চট্টগ্রাম- শারজাহ-কাতার- ইরাক।

র‌্যাবের সহকারী পরিচালক মিডিয়া (এএসপি) সোহেল মাহমুদ আরো জানান, মানব পাচারকারী চক্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দালালের মাধ্যমে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তির মাধ্যমে ইরাক পাঠানোর জন্য লোকজনদের প্রলুব্ধ করে। উদ্ধারকারীরা ইরাক পৌছানোর পরে টাকা পরিশোধ করবে বলে চুক্তি হয়। তারা কোন অগ্রিম টাকা দেয়নি। ইরাক পৌছানোর পরে কিছু কিছু লোক নিজ উদ্যোগে এবং কেউ কেউ দালালের মাধ্যমে ইউরোপের অন্য কোন দেশে যাবে বলে জানা যায়।

এদিকে উদ্ধারকৃতদের তথ্যের ভিক্তিতে র‌্যাব পাচারকারী চক্রের ৪ দালালকে চিহ্নিত করেছে। তারা হলো-মুন্সিগঞ্জের মোঃ সবুজ (৪৫), মোঃ সজিব আহমেদ (২৫), মোঃ রবিউল (৩২), মোঃ জসিম (৩২)।

উদ্ধারকৃতদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর এবং দালাল চক্রকে গ্রেফতারের চেষ্টার চলছে বলে র‌্যাব জানায়।