অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নোয়াখালীতে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে সংবাদ করায় সাংবাদিক গ্রেফতার

0
সাংবাদিক মো. সেলিম।

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় প্রভাবশালী বালু খেকোদের দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলায় মো. সেলিম নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শিলমুদ গ্রামের নিজ বাড়িতে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের সহযোগিতায় জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ (ডিবি) সেলিমকে গ্রেফতার করে। এরআগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় সোনাইমুড়ি থানায় ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গ্রাম চৌকিদার সোনাইমান।

সাংবাদিক মো. সেলিম সোনাইমুড়ি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শিলমুদ গ্রামের মো. সামছুল হকের ছেলে। তিনি দৈনিক আলোকিত সময় ও সংবাদ সংলাপ ডটকমের সোনাইমুড়ি উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন এবং সোনাইমুড়ি প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিক সেলিমের বাবা মো. সামছুল হক জানান, চলতি মাসের শুরু থেকেই উপজেলার শিলমুদ গ্রামের উত্তর পাড়ায় কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে সোলাইমান চৌকিদারের ছেলে মো. আবদুল্যাহ।  এতে জনসাধারনের ফসলি জমি, গাছ-পালাসহ স্থাপনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় তার ছেলে সাংবাদিক সেলিমসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেন।

বিষয়টি অবগত হওয়ার পর সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঙ্গাজাই মারমাকে পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বালু উত্তোলন বন্ধের দুইদিন পরই আবারো ড্রেজার মিশিন দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে ওই প্রভাবশালী আবদুল্যাহ।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ সেপ্টম্বর) বিকালে সংবাদ সংলাপ ডটকমে বালুখোর আবদুল্যাহ’র অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক সেলিম। সংবাদ প্রকাশের পর রাতেই সেলিমের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সোনাইমুড়ি থানায় মামলা দেয় আব্দুল্লাহর বাবা চৌকিদার সোলাইমান। পুলিশ কোন রকম যাছাই-বাছাই না করেই মামলা রেকর্ড করে দেড় ঘন্টার মধ্যে সেলিমকে রাত ২টার দিকে গ্রেফতার করে।

জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, সোনাইমুড়ি থানার মামলা নং-১৮ পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে তদন্ত করছি। সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা যাছাই-বাছাই শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাংবাদিককে গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।