বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করলে তার পক্ষে আইনজীবিরা জামিনের আবেদন করলে শুনানী শেষে সিএমএম আদালত নং ৮ এর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিএফইউজের জেনারেল সেক্রেটারী এম আব্দুল্লাহ পাঠক ডট নিউজকে জামিন না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে দৈনিক সংগ্রাম অফিস থেকে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গ্রেফতার করে পুলিশ। হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালতে হাজিরা না দেয়ায় রুহুল আমিন গাজীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সেই পরোয়ানা পেয়ে হাতিরঝিল থানা বুধবার পুলিশ রুহুল আমিন গাজীকে মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে।
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদ ও প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমীন গাজীসহ আট জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, রুহুল আমীন গাজীর বিরুদ্ধে আদালত থেকে একটি পরোয়ানা আসে। সেই পরোয়ানা অনুযায়ী রুহুল আমীন গাজীকে মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
ডিএমপির তেঁজগাও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুনুর রশিদ বলেন, রুহুল আমিন গাজীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে রুহুল আমিন গাজী দাবি করেছেন, ওই মামলায় তিনিসহ অন্য আসামিরা স্থায়ী জামিনে আছেন।
বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নিজের ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে জানান, রুহুল আমিন গাজীকে দৈনিক সংগ্রাম অফিস থেকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ নিয়ে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, রুহুল আমিন গাজীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবর বিএফইউজের নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে সভাপতি হিসেবে পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার জন্য প্রার্থী হয়েছেন রুহুল আমিন গাজী।