ফরিদুর রেজা সাগরকে নব্য রাজাকার বললেন এটিএন’র মাহফুজ
চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরকে নব্য রাজাকার বলে অভিহিত করেছেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে মিডিয়া ইউনিটি আয়োজিত ‘অনুমতিবিহীন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও টেলিভিশন শিল্প অনিবার্য পরিণতি’ শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কমিশনের মাধ্যমে একটি জালিয়াত চক্র বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। যে ব্যক্তি এই কাজ করছে তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ট সম্পর্ক। এটিএন বাংলা চালু করার ৭ দিনের মধ্যে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেই ব্যক্তি সাগর ভাই।’
‘আপনাকে (ফরিদুর রেজা সাগর) বলবো আপনি এই কাজ বন্ধ করুন। মানিলন্ডারিং বন্ধ করুন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বুকে লাথি মারবেন না। এতোগুলো মানুষের পেটে লাথি মারবেন না। একা না খেয়ে সবাইকে খেতে দেন। আপনি আজকের নব্য রাজাকার’ বলেন মাহফুজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২৬টি টেলিভিশন চ্যানেল এক সঙ্গে আছি। এই ২৬টি চ্যানেল ছেড়ে যেসব শিল্পীরা একটি চ্যানেলের সঙ্গে থাকবে আমরা তাদেরকে ব্যান্ড করে দিবো।
এ সময় অভিনেতা শহিদুল ইসলাম সাচ্চু প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমরা অভিনয় শিল্পীরা যখন কোন সমস্যায় পড়েছি সাগর ভাইকে কাছে পেয়েছি। ব্যক্তিগত অথবা যেভাবেই হোক তিনি আমাদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে তাকে কি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল?
এর উত্তরে একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী এবং মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমি আজ কোন কড়া কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু প্রশ্ন যখন উঠেছে জবাব তো দিতেই হবে। আমি এটাকে বলবো ‘গরু মেরে জুতা দান’। দেশের কলাকুশলীদের পেটে লাথি মেরে একজন শিল্পীর ক্যান্সারে ১ লাখ টাকা সহায়তা করা গরু মেরে জুতা দান ছাড়া আর কি হতে পারে। এই অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর কোন কারণ নেই।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে মোজাম্মেল বাবু জানান, কিছু বিদেশি চ্যানেল অনুমোদনহীনভাবে বাংলাদেশে ডাউনলিংক দিয়ে চালানো হচ্ছে। এসব চ্যানেলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি জালিয়াত চক্র বিদেশি চ্যানেলের নামে দেশ থেকে টাকা পাচার করছে।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞাপনের যে টাকা দেশের বাহিরে পাঠানো হচ্ছে তা মানিলন্ডারিং। দেশিয় পণ্য প্রচার ও প্রসার আইনের মাধ্যমে এ টাকা দেশের বাহিরে পাঠানো হচ্ছে। ১১-১২ শতাংশ কমিশনের কারণে যারা এ কাজ করছে, তারা এ প্রজন্মের রাজাকার।’
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তথ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি কাওকে কনভেন্স করতে পেরেছি বলে মনে হয় না।
এ সময় তিনি চারটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- অবৈধ ডাউনলিংক চ্যানেল বন্ধ করা, দেশীয় বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে প্রচার বন্ধ করা, বিজ্ঞাপন প্রচারের নামে মানিলন্ডারিং বন্ধ করা এবং সন্ত্রাস দমন।
ডিরেক্টরস গিল্ড’র সদস্য গাজী রাকায়েত বলেন, আমাদের দেশী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপন নির্ভরতা কমাতে হবে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপন নির্ভরতার কারণে দেশে এক শ্রেনীর দালাল সৃষ্টি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মিডিয়া ইউনিটির দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সংসদ সদস্য ও আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক হানিফ সংকেত, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাভিশনের চেয়ারম্যান আবদুল হক, এশিয়ান টিভির মালিক হারুন উর রশিদ প্রমুখ।
তুমি ও তো সেই বালের বাল।
লঅ-ঠেলা
সংবাদিক হত্যার অভিযোগে সম্পাদক , সুন্দরী নারীর চোখের কাজল …..
নিজের অপরাধ (সাগর রুণি) ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছেন তাই বড় গলা..!
দুজনেই স্বার্থবাজ এবং পিওর ভণ্ড।
পুরো মিডিয়াকে কব্জা করে রেখেছে এরা।
চ্যানেল আই ইভা রহমানের গান প্রচার করলেই তো ঝামেলা চুকে যায় ????
Ei dha ki hunlam! Etai baki cilo. Kada kadha chura churi eibar jombe valo @ tela samlaw
কাজিয়া এগিয়ে যাক! জাতি নতুন নতুন তথ্য পাবে আর বিনোদিত হবে!!
দুই মোড়েলের লড়াই দেখা যাক কত দুর গড়ায়।
কামড়া- কামড়ি!! কোথায় নেই!!