অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সরকার সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে

0
.

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শেখার আছে- প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার এমন বক্তব্যকে ‘হাস্যকর ও লজ্জার কথা’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সিইসিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগে আপনারা তো ফল প্রকাশ করতে পারবেন। কারণ আপনাদের ফলাফল আগে থেকেই তৈরি করা থাকে।

ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘প্রতিবাদ সমাবেশে’ বিএনপি এ কথা বলেন।

রাজধানীতে গাড়ি পোড়ার ঘটনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোনো সন্ত্রাসে নয়, গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে বলে এখনো প্রতিটা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু নির্বাচন ব্যবস্থাকে নয়, তারা গণতন্ত্র ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে।

‘নির্বাচন কমিশন একটা অযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সেই কারণে দেখেছি- ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ তারিখে হয়েছে। রাতের অন্ধকারে জনগণের অধিকারকে তারা লুট করে নিয়েছে। তারপর থেকে প্রত্যেকটা নির্বাচনে তাদের পক্ষে লুট করে নিয়েছে’ যোগ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ধীরে ধীরে এই নির্বাচন কমিশনের ওপরে জনগণের আস্থা শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় ভোটকেন্দ্রে জনগণের উপস্থিতিতে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে দেখলাম- এত সন্ত্রাস, কারচুপি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার পরও সেখানে ১৪ শতাংশ বেশি ভোট তারা দেখাতে পারেনি।’

এ সময় সিইসিকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কি হাস্যকর কথা! কি লজ্জার কথা! প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আমেরিকার নির্বাচন কমিশনের থেকে উন্নত। কেন? কারণ তারা পাঁচ দিনেও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে পারে না, সেখানে আমরা পাঁচ মিনিটের ফলাফল ঘোষণা করতে পারি।’

‘আপনারা তো পারবেন, কারণ আপনাদের ফলাফল আগে থেকেই তৈরি করা থাকে। তাই আপনারা সেটা ঘোষণা করে দেন। নির্বাচন কমিশনার তাদের লোকলজ্জা পর্যন্ত নেই। তাদের লজ্জা-শরম যদি থাকতো তাহলে অনেক আগে পদত্যাগ করে চলে যেত’ যোগ করেন তিনি।

সমাবেশে বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।