অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভোট ডাকাতিকে ভিন্ন খাতে নিতে দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে বাসে আগুন দিয়েছে সরকার: ডা শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ঢাকার নির্বাচনে ভোট ডাকাতিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বাসে আগুন ও পরিকল্পিত মামলা দিয়েছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার অতীতের ন্যায় আবারও দেশব্যাপী যুবদল নেতা কর্মীদের নামে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করেছে। দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিন গায়েবী মামলা দায়ের করে যুবদল কর্মীদের ঘর ছাড়া করা হচ্ছে, তাদের উপর নানা রকম নিপীড়ন চালানো হচ্ছে যা বর্তমান বিশ্বের সকল স্বৈশাসকের নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়েছে। তাদের মনে রাখা উচিৎ প্রতিঘাত যখন শুরু হবে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না। নীরব, টুকু, দীপ্তি ও শাহেদের সকল গায়েবী মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি আজ শনিবার (২১ নভেম্বর ) বিকাল ৪ টায় নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সধারণ সম্পাদক সুলতান সালহ উদ্দিন টুক, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি ওসাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহদসহ নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন ও আন্দোলনকে সামনে রেখেই এসব ‘গায়েবি’ মামলায় নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। সিনিয়র নেতারা যেন নির্বাচনের প্রস্তুতি বাদ দিয়ে আদালতে ব্যস্ত সময় কাটান, সে জন্য তাদের নামে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নামে সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গোটা জীবনে কোন বিশৃংখলা, অরাজকতা, হঠকারিতা, ভাংচুর, জালাও-পোড়াও এবং অনিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রমের কোন নজির নেই। এ নেতৃবৃন্দ নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। প্রকৃতপক্ষে আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় ভীত হয়ে এ নেতৃবৃন্দের উন্নত চরিত্রের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আদর্শিক মোকাবিলায় ব্যর্থ এ ফ্যাসিবাদী সরকার গ্রেফতারী পরোয়ানা ও ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাদের এ হাস্যকর মামলায় গোটা জাতি বিস্মিত।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। দমন-পীড়ন চালিয়ে এ দেশের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না বরং বহুগুণ শক্তিতে এ আন্দোলন বলীয়ান হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি নেতা-কর্মীদেরকে ধৈর্য ও দৃঢ়তার সাথে সংগ্রামে এগিয়ে চলার আহবান জানান এবং সরকারকে ফ্যাসিবাদী পথ পরিহার করে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবী করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সি.সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন’র সভাপতিত্বে এবং সি.যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আজমল হুদা রিংকু, নুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, দিদারুল ফেরদৌস, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, নাসির উদ্দীন চৌধুরী নাছিম, হাসান মুরাদ, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান, জাহিদ হোসেন বাবু, অরুপ বড়ুয়া, মোহাম্মদ আলী সাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবীর, সেলিম উদ্দিন, রাশেদুল হাছান লেবু, আব্দুল হামিদ পিন্টু, দিপংকর ভট্টাচার্য, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা জিয়া, শাহিন পাটোয়োরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, রাজন খাঁন, ওমর ফারুক, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, ওসমান গনি শিকদার, শাহজালাল পলাশ, জাফর আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ ইয়াসিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, জসিম উদ্দীন সাগর, মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, মহিউদ্দীন মুকুল, এস.এম. বখতেয়ার উদ্দীন, মোহাম্মদ ইকবাল, আছাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান মাহবুবুর রহমান, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়–য়া, সাহেদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দীন টুনু, জিয়াউল হক মিন্টু, মোহাম্মদ নওশাদ, মোঃ মঞ্জুর আলম, মোহাম্মদ হাসান, হামিদুল হক, মাস্টার ফজলু, মেজবাহ উদ্দীন মিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সালাউদ্দীন, মোহাম্মদ ইদ্রিছ, আনোয়ার হোসেন, আশরাফ উদ্দীন, হোছেন জামান, ইব্রাহীম খান দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান দুলাল, জাফর সাদেক সোহেল, আরিফ হোসেন, ইয়াছিন আজাদ, ইমরান ভুঁইয়া, আবু কালাম, ইলিয়াস হাসান মঞ্জু, মোহাম্মদ জসীমউদ্দীন, মামুন খান, নগর যুবদলের সদস্য আফসার উদ দোলা অপু, সাবাব ইয়াজদ্দীন, বশির আহমেদ রানা, থানা যুবদলের আহবায়ক কতুব উদ্দীন, যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুর আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, ইউনুছ মুন্না, ওবায়দুল হক, ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আবু বক্কর বাবু, মোঃ সাইফুল আলম, মোঃ হাসান, মোহাম্মদ জাবেদ, বাদশা আলমগীর, মোহাম্মদ ইউনুছ, জহিরুল ইসলাম, মোঃ মুজাহিদ, এস এম আলীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।