অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীতে বিদ্যুত লাইনের সংস্পর্শে দোকান কর্মচারী নিহত

0
.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলাল হাটহাজারী পৌরসভার কলাবাগান এলাকায় গাউছিয়া মার্কেটের তিনতলায় কাজ করার সময় হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎলাইনের সংস্পর্শে ইমন (২০) নামে এক কর্মচারী নিহত হয়েছে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে দোকান কর্মচারী ইমন ঐ ভবনে কাজ করার সময় হাইভোল্টেজ বিদ্যুতলাইনে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে তিনতলা থেকে নিচে পড়ে যায়। গুরুতর আহত ইমনকে প্রথমে চমেক হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে সে মৃত্যুবরণ করে। রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাটহাজারী পৌরসভার কলাবাগান এলাকার গাউছিয়া মার্কেটে “ক্লাসিক থাই এ্যালুমিনিয়াম এন্ড এস.এস” নামক দোকানের কর্মচারী ইমন তিনতলায় উঠে সাইন বোর্ড লাগাচ্ছিল। এসময় মার্কেটের পাশ ঘেষে যাওয়া ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুত লাইনে আকস্মিকভাবে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যায় সে। হাইভোল্টেজ তারে বিদ্যুতায়িত হওয়ার বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে এসে দেখতে পান একটি জ্বলন্ত শরীর নিছে পড়ে ছটফট করছে। তার পুরো শরীর ফোস্কা পরে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাশ্ববর্তী একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়া হয়, অবস্থা গুরুতর হওয়াতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতলে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ইমন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের আলাওল দিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ইমনকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মোঃ নেজাম উদ্দিন বলেন, ইমনের শরীরের পুরো চামড়া শরীর থেকে উঠে গেছে।

ফতেপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো: আলমগীর ইমনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় পৌঁছার পর রাতে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পূর্বেই গুরুতর আহত ইমন মারা গেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দুর্ঘটনাস্থল এলাকায় মারাত্মক ঝূঁকিপূর্ণ ৩৩ হাজার ভোল্টেজের লাইন সংলগ্ন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা ভবন ও মার্কেটে গত এক বছরে একই রকমের দূূঘর্টনায় মোট ৪ জনের মৃত্যু ঘটলেও এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার রয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় ভবিষ্যতেও এ ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

এ ব্যাপারে গাউছিয়া মার্কেটের মালিক মো: আলমগীরের বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ছেলেটি বিদ্যুতের কাজ করত বলে তার পরিবার জানিয়েছে। গরিব হওয়াতে নিহতের পরিবার কোন মামলা কিংবা অভিযোগ করতে রাজি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।