অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

‘দুর্নীতি বন্ধের রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি হয়নি, সুযোগ থাকলে দুর্নীতিতো হবেই’

0
.

বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের নাম চিরভাস্বর থাকবে। রাজনীতি সাংবাদিকতা অধ্যাপনায় তিনি রেনেসাঁ পুরুষ। ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নাগরিক স্মরণ’ আয়োজনে সভায় বক্তারা একথা বলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম প্রণেতা, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বরেণ্য সাংবাদিক, দৈনিক আজাদীর প্রাক্তন সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মরণে আজ  রবিবার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত হয় এই স্মরণ অনুষ্ঠান।

চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের এই আয়োজনে সংগঠনের আহবায়ক ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ।

স্মরণ আলোচনার উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ডাঃ মাহফুজুর রহমান। বিশেষ আলোচক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী ।

.

আলোচনায় অংশ নেন সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, দেশ টিভি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সৈয়দ আলমগীর সবুজ, সাংবাদিক গবেষক ও দৈনিক সমকালের সিনিয়র সহ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিন মুন্না, চট্টগ্রাম মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, দৈনিক আজাদীর কর্মরত সাংবাদিকদের পক্ষে স্টাফ রিপোর্টার ইকবাল হোসেন, যুবনেতা সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগ নেতা ইয়াসির আরাফাত, স্টুডেন্টস সোশ্যাল ওয়ার্ক প্রতিষ্ঠাতা সাবরিনা চৌধুরী প্রমুখ । মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের পরিবারের পক্ষে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তাঁর পুত্র ও শ্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির । সন্চালনা করেন আবৃত্তি শিল্পী তৈয়বা জহির আরশি । অনুষ্ঠানের শুরুতেই অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের স্মরণে দাড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।

সভায় বক্তারা বলেন-, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সম্পর্কে বলেন,’আমৃত্যু চট্টগ্রামের মানুষের দুঃসময়ের সারথি ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনেও তাঁর অবদান স্মরণীয়। সততা কর্মনিষ্ঠার জন্য তিনি আদর্শিক পুরুষ। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের রেখে যাওয়া সংবিধানের ২৫ মুল নীতি অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নের এখনই সময় । প্রসঙ্গক্রমে তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান । তিনি বলেন, দুর্নীতি বন্ধের রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি হয়নি। দুর্নীতি হচ্ছে , এর জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ি নন। দুর্নীতির সুযোগ থাকলে দুর্নীতিতো হবেই।