অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শেখ হাসিনার সরকার হীরক রাজার সরকার

0
????????????????????????????????????
.

বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতার পরোয়ানা জারীর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল শুক্রবার বিকলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউরী চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নশেখ হাসিনা আজ যা ইচ্ছা তাই করছে, একদিকে বদিদের দুদুকের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আবার ইচ্ছামতো জামিন দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে সাংবাদিক মাহামুদুর রহমানরা জামিন পেলেও তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। মিথ্যা মামলায় বিএনপি’র কেউ জামিন পেলে কারাফটক থেকে আবার গ্রেফতার করা হয়।

বদরুলদের আজ বিচার হয় না উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ফাঁসির মঞ্চের আসামিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ কোথাও বিচার নেই। বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের উপর খবরদারি করা হয়। এই সরকারের আমলে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ কেউ নিরাপদ নয়, রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় থেকে সরকারের এমপি মন্ত্রীদের সরাসরি হস্তক্ষেপে এসমস্ত ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে।

ডা. শাহাদাত আরো বলেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির মাধ্যমে প্রমাণ হয় সরকার নিজেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, আজ সংসদ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ সব সরকারে অধীনে, সরকারের সংসদে রয়েছে বিশাল সংখ্যা গরিষ্ঠতা, সরকার সংসদের একটি আইনের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কোন শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারবে না। এমন একটি আইন পাশ করলেই হচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট কেউ জম্মদিন পালন করবে না। তাই শেখ হাসিনার সরকার হীরক রাজার সরকারে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের মাটি শহীদ জিয়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ঘাঁটি। অতিসত্বর তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

প্রধান বক্তা হিসেবে উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম.এ আজিজ, মোহাম্মদ আলী, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, এস.এম সাইফুল আলম, হারুন জামান, ইস্কান্দর মির্জা, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, নুরুল আলম রাজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সুুভুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কি, কাউন্সিলর মাহাবুব আলম, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, টিংকু দাশ, কামরুল ইসলাম, শিহাব উদ্দিন মোবিন, গাজী মো. সিরাজ উল্যাহ, মো. সাহেদ, জেলী চৌধুরী, আবতাফুর রহমান শাহীন, ইসহাক চৌধুরী আলীম, এইচ.এম রাশেদ খান, হাজী নবাব খান, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, হাজী মো. তৈয়ব, জাহিদুল হাসান, আলাউদ্দিন আলী নুর, মো. মহসিন, সামশুল আলম, হানিফ সওদাগর, জসিম উদ্দিন জিয়া, ফরিদুল আলম, ইউসুফ জামাল, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. বেলাল, আবু তাহের প্রমুখ।