অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে হাফেজ খুনের দায়ে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

0
1428143819
আদালত ভবনের ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান কর্মচারী হাফেজ দিদারুল আলমকে হত্যার অভিযোগে দুই ব্যবসায়ী ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ জজ সৈয়দা হোসনে আরা এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন, সাতকানিয়া উপজলার সদর কেরাণীহাটে অবস্থিত ভাই ভাই ক্লথ স্টোরের মালিক রেজাউল করিম লিটন ও মফিজুল ইসলাম ফারুক।

এ ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের আরেক ভাই আজাদুল আলম আজাদ ও একই দোকানের কর্মচারী মোহাম্মদ আবুল কালামকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট জাহাঙ্গির আলম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফেজ দিদারুল আলম (২৪) সাতকানিয়ারা মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমানের ছেলে। তিনি আসামিদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান কেরানীহাট ভাই ভাই ক্লথ স্টোরে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে আসামিদের বড় ভাই জাফরের কিশোরী মেয়ের সাথে হাফেজ দিদারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এরই মধ্যে ২০০৫ সালের ১ নভেম্বর রমজান মাসের রাতে দোকানের ভেতর হাফেজ দিদারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

অভিযুক্তরা তার মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে জানায়, ভোর রাতে সেহরি খাওয়ার পর বমি করার কারণে অসুস্থ্য হয়ে দিদার মারা গেছে। কিন্তু তার বাবা মাহমুদুর রহমান তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।

পুলিশ দিদারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এতে দেখা যায়, দিদারের মাথায়, বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান জানান, আসামিরা তাদের ভাতিজীর সাথে দিদারের প্রেমের ঘটনা জেনে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান সাতকানিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৯ সালের ২ জুন পুলিশ ৩ ভাই এবং দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত অভিযোগ গঠন ও ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর মঙ্গলবার দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কর্মচারী আবুল কালাম ও অপর ভাইকে খালাস দেন।

দণ্ডিতদের মধ্যে মফিজুল ইসলাম ফারুক কারাগারে থাকলেও তার ভাই রেজাউল করিম লিটন পলাতক রয়েছে বলে কোর্ট পুলিশ জানায়।