অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম বলেন, জনগণের ওপর আস্থা নেই বলে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে সরকার। ৫ জানুয়ারি ও ৩০ ডিসেম্বর ভোটার বিহীন একতরফা কারসাজির নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে বর্জন করেছেন। বর্তমান সরকার নির্বাচনকে প্রহশনে পরিণত করেছে। এখন নির্বাচন মানে আতঙ্ক আর বিরোধী মতের উপর মামলা, হামলা, নির্যাতন, দিনের ভোট রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটেনা। সরকারের প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে কেন্দ্র দখল করে জনগনের ভোটাধিকার হরন করা। এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে দলীয় কার্যালয় নাছিমন ভবন মাঠে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা সরকার এখন নির্বাচনকে হাস্যরসে পরিণত করেছে। ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের নির্মম নির্যাতন, নির্মমতা সারাবিশ্ব উপলব্ধি করেছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে ২৯ তারিখ রাতেই ব্যালট বক্স ভরিয়ে দিয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিপন্থী কাজে সরকার সেদিন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ব্যবহার করো স্বাধীনতার চেতনাকে ধংস করেছে। এ ফ্যাসিবাদ সরকার জনগনকে ধোকা দিয়ে তিন তিন রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রের লেবাসে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। ভোট ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সরকারকে নিয়তান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য কারা হবে। তার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জনবিস্ফোরণ ঘটাতে হবে।

চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নগর বিএনপির সদস্য আবু সুফিয়ান বলেন, ভোট ডাকাতির সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। জনগনের কাঁধে বন্দুক রেখে গণতন্ত্র হরণ চলছে। স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে স্বাধীনতা হরণ করছে আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠন পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদ ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, আবদুল হালিম শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য নিয়াজ মোহাম্মদ খান, এস এম আবু্ল ফয়েজ, আবুল হাসেম, মনজুর আলম মনজু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা সভাপাত মোঃ সেকান্দর, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন,সালাউদ্দিন, আবদুল্লা আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মনির আহমদ চৌধুরী, নূর হোসেন, জাহাঙ্গির আলম, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, আবদুল কাদের জসিম, জেলী চৌধুরী, শেখ নুর উল্লাহ বাহার, ওয়ার্ড সভাপতি আকতার খান, আলী আব্বাস খান, মনজুর আলম মনজু, আশ্রাফ উদ্দিন, মোঃ হরুন, মোশারফ জামান, মোঃ বেলাল, হাজী ইলিয়াছ, খন্দকার নরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আলী নূর, নবাব খান, জমির আহমদ, শরিফুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, রফিক চৌধুরী, মোঃ আজম উদ্দিন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ সাইফুল , এস এম মফিজুর রহমান, খাজা আলাউদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আবু, হাজী এমরান,জসিম মিয়া, মোঃ সফি, মনজু মিয়া, মনজুর কাদের, এ কে আজাদ, আলহাজ্ব আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন আরজু, মামুন আলম, সৈয়দ আবুল বসর, হাসান ওসমান, মোস্তফিজুর রহমান মোস্তাক, ফরিদুল আলম, শফি উল্লাহ, হাজী জাহেদ, মোঃ হাসান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আশ্রাফ খান, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, এস এম রব, সাহাব উদ্দিন, নাছিম চৌধুরী, মোঃ সেলিম, আমান উল্লাহ আমান, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমূখ।