অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

টিকা নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে উদ্বেগ

0
.

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবরে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় নিষেধাজ্ঞার খবরটি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।

আজ সোমবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও খবর: করোনার টিকা রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা: ‘জানে না’ বাংলাদেশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের কাছ থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে তারা জানার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।’

‘তবে ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়ও তাহলেও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক, তাতে আমাদের টিকা পেতে কোন সমস্যা হবে না’ বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানায়, ভারত কয়েক মাসের জন্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটি ভারতে উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট।

সেরাম ইন্সটিটিউট তাদের তৈরি টিকা এখন ভারতের বাইরে রপ্তানি করতে পারবে না- এমন একটি খবর প্রকাশ হওয়ার পর বাংলাদেশে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘রোববার ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তাদের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা রপ্তানি করা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে শুধু ভারত সরকারকে টিকা সরবরাহ করতে পারব। টিকা মজুত না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

পুনাওয়ালা আরও বলেন, ভারতের অন্তভ্যরীণ বাজারে টিকা বিক্রি করা থেকেও সেরামকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।‘

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রপ্তানিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের ওপর নিষেধাজ্ঞা কয়েক মাস অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা পৌঁছাতে কয়েক মাস দেরি হতে পারে।