অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে অসহনীয় যানজটে জনজীবনে চরম ভোগান্তি

0
????????????????????????????????????
.

চট্টগ্রাম মহানগরীতে অসহনীয় যানজটের কারণে জনজীবন ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ। উড়াল সেতু নির্মাণসহ ওয়াসার পানি সরবারের কাজ করতে গিয়ে যান চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না করায় এটা যেন “মরার উপর খারার ঘা” হয়ে আছে নগবাসীর উপর।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জনগনের ভোগান্তি কমাতে পূর্বেই বিকল্প পরিকল্পনা তৈরী করার আহবান জানান।

রবিবার বিকালে গনমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ আহবান জানান ক্যাব নেতারা। বিবৃতি দাতারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান ।

ক্যাব নতেৃবৃন্দ বলেন,চট্টগ্রাম নগরীতে উড়াল সেতু নির্মান করতে গিয়ে সমগ্র চট্টগ্রাম নগরী যেন একটি যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

যানজট থকে মুক্তি পাবার জন্য উড়াল সেতু নির্মানের কথা বলা হলেও নির্মান শুরুর আগে বিকল্প উপায়ে যান চলাচলের কোন ব্যবস্থা না করে কাজ শুরু দেয়ার কারনে এটা যেন “মরার উপর খারার ঘা” হয়ে আছে নগবাসীর উপর।

নগরীর মুল সড়ক বিশেষ করে বহদ্দার হাট, মুরাদপুর, ২নং গেট, জিইসি, ওয়াসা যেন যানজট নয়, মরণ ফাঁদ। এছাড়া বিমান বন্দরগামী সড়কে দীর্ঘ যানজটের কারনে যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ে বিমান বন্দর পৌঁছানো ও ফেরত আসা পুরোটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

.

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাঁর ফেইসবুকে লিখেছেন, গত বৃহস্পতিবার ২ ঘন্টা রাস্তায় যানজটে আটকা পড়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে বিমানের ফ্লাইট ধরতে পারেননি তিনি। ফ্লাইট ধরতে না পেওে যখন বাসায় ফিরছিলেন তাতেও আবার আরো দু ঘন্টা যানজটে আটকা পড়তে হয় তাঁকে।

তাঁর মত আরো অনেক যাত্রীকে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। অপরদিকে অনেকগুলি সড়ক খুলে রাখা, সড়কের উপর সিটি কপোরেশনের ময়লাগুলি শুকিয়ে আবার ধুলোয় পরিণত হবার কারনে পুরো নগরী যেন ধুলোয় ছেয়ে গেছে। ফলে সর্দি, হাফানী ও শ্বাসকষ্ঠ জাতীয় রোগের প্রার্দুভাব প্রকট আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন,সিটিকর্পোরেশন, সিডিএ ও ট্রাফিক বিভাগের সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে উড়াল সেতু নির্মানাধীন সড়কগুলিতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিকল্প কানেন্টিং সড়ক যুক্তকরণ করতে হবে।

এছাড়া সিএনজি টেক্সী, প্রাইভেট কার গুলির জন্য পৃথক সড়ক নির্ধারন, কানেন্টিং সড়কগুলি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করা, বর্তমান সড়কগুলি খানাখন্দক দ্রুত সংস্কার, সড়কগুলির ধুলাবালি ছাড়ানো রোধে চটের বেড়া তৈরী করে ধুলাবালি ছড়ানো রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

সিটি কর্পোরেশনের স্তুপকৃত ময়লা না শুকিয়ে দ্রুত অপসারনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানিয়েছেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান সড়কগুলিতে প্রচন্ড যানজটের কারনে জনভোগান্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে নগর প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উড়াল সেতু নির্মানের কারনে রাস্তায় যানজট হবে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না ।

যে কোন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহনের পুর্বে সাময়িক বিকল্প কি হতে পারে তা নির্ধারন করে প্রকল্প শুরু করা হয়। কোন প্রকার পুর্ব প্রস্তুতি ও বিকল্প নির্ধারন না করেই প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।

ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী বলেন, চট্টগ্রাম শহরটি যেহেতু কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত লম্বালম্বি আর মূল সকড়টির উন্নয়নে যখন কোন প্রকল্প গৃহিত হবে তখন তার পুর্বেই কানেক্টিং সড়কগুলিকে বিকল্প হিসাবে যান চলাচলের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা দরকার ছিল।

তিনি বলেন, গণপরিবহন ও ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক সড়ক লেন নির্ধারন করে দেয়া দরকার ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে ধরনের কোন উদ্যোগ না নিয়ে বদলে যাওয়ার শ্লোগান দিয়ে জনগনের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। যা সরকারের বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ম্লান করছে।

ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নগরীর উন্নয়নে নিয়োজিত সিটিকর্পোরেশন, সিডিএ, সিএমপি, ওয়াসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলির মাঝে আন্তঃ কার্যকর সমন্বয় না থাকায় এক-এক সময় এক একটি দপ্তর রাস্তা খুড়ে থাকে।

আবার অনেকে রাস্তায় নির্ধারিত অংশে তাদের কাজ শেষ করে ক্ষতটি সংস্কার না করেই খুলে রেখে চলে যান ফলে ঐ উন্নয়ন প্রকল্পটি তখন জনগনের জন্য আর্শিবাদ না হয়ে অভিশাপে পরিনত হয়।