অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

‘সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসুন’ ডা: শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার শেষ দিনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ও জনপ্রিয় দল হিসেবে জনগণের প্রতি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা থেকে চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। চট্টগ্রামের জনগণের প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বিএনপিরও প্রত্যাশা সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নেতা, মন্ত্রী-এমপিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। তিনি নগরবাসীকে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসার আহবান জানান।

আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারী) দিনব্যাপী জামালখান, এনায়েত বাজার ও আলকরণ ওর্য়াডে গণসংযোগ চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে পুরাতন বিমান অফিস রোড, আসকার দিঘীর পাড়, হেমসেন লেইন, মোমিন রোড, বৌদ্ধমন্দির, এনায়েত বাজার, তিন পুলের মাথা, আমতল, নিউ মার্কেট মোড়, ষ্টেশন রোড, বিআরটিসি মোড়, বাটালী রোড়, লাভলেইন, কাজীর দেউড়ি হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

তিনি বলেন- নির্বাচনের প্রচারণায় আমি যে এলাকায় গিয়েছি, বিএনপির প্রতি, ধানের শীষের প্রতি সাধারণ মানুষের জোয়ার দেখেছি। সেই জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী-এমপিদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় দলবাজ, অতি উৎসাহী কর্মকর্তা এবং নিজেদের দলের গুন্ডা-মাস্তানদের লেলিয়ে দিয়েছে। এপর্যন্ত আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বাসায় বাসায় গিয়ে হয়রানি করছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। গুম-খুনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার প্রচারণায় একাধিকবার হামলা হয়েছে। আইনের পোশাক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা বেআইনি কাজ করছে।

ড: শাহাদাত বলেন, বর্তমানে ভোটের পরিবেশ অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তারা আদৌ ভোট দিতে পারবে কি না। নির্বাচনকে বানচালের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা পরিস্কার বলে দিতে চাই, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনরায় মানতে বিএনপি প্রস্তুত। ভোটের মাধ্যমে যে রায়ই আসুক বিএনপি স্বাগত জানাবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষে গণসমর্থন-গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে ভোট কেড়ে চেষ্টা করলে, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জনরায় পাল্টানোর চেষ্টা করলে চট্টগ্রামের জনগণ মেনে নেবে না। চট্টগ্রামবাসী আওয়ামী লীগের এ অগণতান্ত্রিক আচরণের কঠোর জবাব দেবে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের হারাবার কিছু নেই। মামলা-হামলা, গুম-খুন গত ১৪ বছর ধরে আমরা মোকাবেলা করে আসছি। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আমাদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে হবে। মানুষের রায় যাতে কেউ ছিনতাই করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াতে হবে। ভোটারদের অনুরোধ করব, আপনারা সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসুন। দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় নিয়ে যেতে চাইলে আপনাদের ভয় উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে। বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের রক্ষায় নেতাকর্মীরা বুক পেতে দেবে।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রিয় সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, বিএনপিনেতা সিহাব উদ্দীন মোবিন, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাঃ সম্পাদক জাকির হোসেন, আলকরন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী দিদারুর রহমান লাভু, জামাল খান ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মহসিন চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আরজুন নাহার মান্না, মহিলাদলের সাঃ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাঃ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু. বিএনপিনেতা মুজিবর রহমান চেয়ারম্যান, আবদুল বাতেন, সালাউদ্দীন লাতু, আবু আবু আহমেদ চৌধুরী, কাজী শাহজান, আলী আব্বাস খান, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, জসিম মিয়া, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, মোঃ সেলিম, জমির উদ্দীন নাহিদ, মোঃ সেলিম, দেলোয়ার হোসেন, দিদারুল আলম, আবদুল জলিল, মোঃ পেয়ারু, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দীন, ইদ্রিস বাবুল, আবদুল্লাহ আল মামুন, আকবর হোসেন, এ এফ রুমি, খলিলুর রহমান, সৈয়দ সাফোয়ান আলী, মোঃ জাহেদ, মোঃ জহির।