অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরবাসী ও মিডিয়া কর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা, শাহাদাত হোসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি থেকে আমাকে প্রার্থী ঘোষণার পর আমার প্রতি প্রাণপ্রিয় সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যে সমর্থন ও ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত। করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে এবং পুনঃতফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রচার-প্রচারণায়, গণসংযোগে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পাশে থেকে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে যে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে, তাতে আমি নির্বাচনের মাঠে শেষপর্যন্ত লড়ে যাবার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমার অন্তর থেকে আমার প্রাণপ্রিয় নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা সহযোদ্ধারা আমাকে উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে এ নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) রাতে সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বার্তায় তিনি এ অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন-দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মীদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মিডিয়ার ভাইয়েরা প্রতিদিন আমার এবং বিএনপির নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি, কর্মসূচি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছেন। এতে আমরা আমাদের বক্তব্য, মতামত সহজে জনগণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি বলে আমি মনে করি। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতারা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে যে ভোট ডাকাতির পাতানো নির্বাচন সম্পন্ন করেছে, সেটা শত সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও মিডিয়ার কারণেই দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে পরিস্কার হয়েছে। সবাই দেখেছে, নির্বাচনের নামে বুধবার চট্টগ্রামে কি হয়েছে !

মামলা-হামলা, সন্ত্রাসীদের হুমকি ধমকি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাহীন হয়রানি, পথে পথে বাধা-নির্যাতন, শত প্রতিকূলতার পরও চট্টগ্রামের জনগণ আমার তথা বিএনপির পক্ষে তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছিল। এ কারণে ভয় পেয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। অথচ ন্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলেই জনগণ আওয়ামী লীগ আর প্রশাসনের সকল চক্রান্ত ভণ্ডুল করে দিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমাকেই নির্বাচিত করত। এরপরও অনেক এলাকায় জনতা ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, সাধ্যমতো প্রতিবাদ করেছে। চট্টগ্রামের বীর জনতাকেও আমি হৃদয় থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

আমি ডাঃ শাহাদাত হোসেন দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, তৃণমূল থেকে উঠে আজকের এ অবস্থানে এসেছি। আমার সঙ্গে চট্টগ্রামের জনগণের নাড়ির সম্পর্ক। মামলা-হামলা, নির্যাতন, নির্বাচনে জোর করে পরাজিত করে আমাকে দমানো যাবে না। জনগণের অধিকারের প্রশ্নে, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আমি বিন্দুমাত্র আপোষ করব না। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। দলীয় নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামবাসীর সুখে দুঃখে অতীতের ন্যায় আগামীতেও পাশে থাকবো।
সবাইকে ধন্যবাদ।