
টেস্ট ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে দলীয় ৪০০ রানের গণ্ডি পার করেছে বাংলাদেশ। মূলত মেহেদি হাসান মিরাজের লড়াকু ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে এই স্কোর করতে পারলো টাইগাররা।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার মাত্র দুই ওভার পরই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। জোমেল ওয়ারিকান ফেরান লিটনকে। দ্বিতীয় দিন ঝুলিতে মাত্র ৪ রান যোগ করেন তিনি। এ নিয়ে ৬৭ বলে ৬ চারে মোট ৩৮ রান করেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। লিটনের আউটের পর সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে দলীয় ৩০০ রান পার করে বাংলাদেশ। এরপর দলীয় ৩১৫ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। তাকেও ফেরান রাকিম কর্নওয়াল। বিদায়ের আগে ১৫০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।
এ নিয়ে সাদা পোশাকে ২৫তম ফিফটি করলেন সাকিব। এই ইনিংসের মধ্যে দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২ বছর ২ মাস পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার মাঠে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ৮০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পান স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ছিল তার তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৯৯ বলে ফিফটি করেন এই ডানহাতি। ওয়ারিক্যান-কর্নওয়ালদের অসহায় বানিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি।
১৬০ বলে এ শতকের ইনিংস খেলেন মিরাজ। ১৩ বাউন্ডারিতে এ শতক সাজিয়েছেন মিরাজ। তবে সেঞ্চুরির পর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাকে বিদায় করেন রাকিম কর্নওয়াল। ফেরার আগে মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ১৬৮ বলে ১০৩ রান।
শেষ পর্যন্ত ১৫০.২ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রান করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে নাঈম হাসান ২৪ ও তাজুল ইসলাম ১৮ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪ উইকেট নেন জোমেল ওয়ারিকান। রাকিম কর্নওয়াল নেন ২ উইকেট।
You must log in to post a comment.