অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে কোন উপজেলা কত করোনা ভ্যাকসিন পেল

0
.

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। নগরীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোর থেকে ১৪ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোল্ড স্টোরেজে এসব ভ্যাকসিন রাখা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার ভ্যাকসিন দেয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।

গতকাল শুক্রবার দিনভর উপজেলা ভিত্তিক আলাদা আলাদা ভাবে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিনগুলো আলাদা পরিবহনে করে প্রতিটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।

তিনি বলেন- জানান, মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে অনলাইনে নিবন্ধন করা করোনা টিকা নিতে আগ্রহীদের মাঝে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। সেই সাথে সাথে দেশের উপজেলাগুলোতেও করোনা টিকাদান কার্যক্রমের দ্বার উন্মোচিত হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনার টিকা বরাদ্দ আসার পরদিনই নগরীসহ উপজেলার জন্য পৃথকভাবে বণ্টনের তালিকা করা হয়। এরমধ্যে শুধুমাত্র নগরীর ১৫ কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ ভ্যাকসিন। বাকি ৩ লাখ ১ হাজার ৯৫ ডোজ টিকা দেয়া হবে ১৪ উপজেলায়।

সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ ফজলে রাব্বি আরও জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডোজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পটিয়ায়। এ উপজেলায় দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি ভ্যাকসিন ডোজ।

পটিয়া ছাড়াও আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫২৪ ডোজ, বাঁশখালীতে ২৫ হাজার ৮৪১ ডোজ, বোয়ালখালীতে ১৩ হাজার ৩৭২ ডোজ, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩ হাজার ৯৬৫ ডোজ, ফটিকছড়িতে ৩১ হাজার ৫২৫ ডোজ, হাটহাজারীতে ২৫ হাজার ৮৭৬ ডোজ, লোহাগাড়ায় ১৬ হাজার ৭৭৬ ডোজ, মিরসরাই উপজেলায় ২৩ হাজার ৮৯৬ ডোজ, রাঙ্গুনিয়ায় ২০ হাজার ৩১৭ ডোজ, রাউজানে ১৯ হাজার ৩৪৯ ডোজ, সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৯৭ ডোজ, সাতকানিয়াতে ২৩ হাজার ৬২ ডোজ, সীতাকুন্ডে ২৩ হাজার ২৪৪ ডোজ পৌঁছে গেছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে করোনার টিকা পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পর সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা আশা প্রকাশ করেন যদি কোন ধরনের অনিয়ম না হয় তাহলে যারা টিকা নিতে আগ্রহি হবে তারাই অনায়াসে পাবেন।

অপরদিকে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ জাবেদ জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭ তারিখ হতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে পটিয়া উপজেলা ও পাশ্ববর্তী কর্ণফুলী উপজেলার অনলাইনে নিবন্ধনকৃত ব্যাক্তিরাই তারা তাদের নিবন্ধনের প্রিন্টকপি সাথে করে হাসপাতালে নিয়ে এসে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারবেন। এজন্য হাসপাতালের ইপিআই টিমকে আরো দুইদিন আগেই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রস্তত রাখা হয়েছে।