অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

একযোগে বদলী চেয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের ১০ পুলিশ কর্মকর্তা!

0
.

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় কর্মরত ১০ পুলিশ অফিসার একযোগে বদলীর আবেদন করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকে পৃথকভাবে ব্যক্তিগত অসুবিধা উল্লেখ করে বদলির আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এ বদলি চাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বদলী চাওয়া ১০ জন অফিসার চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর এ বদলীর আবেদন পৃথকভাবে করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রমতে, ১০ জন পুলিশ অফিসারের একযোগে বদলীর আবেদন নিয়ে থানার সব অফিসার ও পুলিশ সদস্যের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। গণহারে বদলী চাওয়া অফিসাররা হচ্ছেন- এসআই সরোজ রতন আচার্য্য, এসআই জাকির হোসেন, এসআই শাহীদ হোসাইন, এসআই মো. নিজাম উদ্দিন, এসআই এমরান হোসাইন, এসআই রিয়াদুল হাসান, এএসআই বাবুল মিয়া বেগ, এএসআই মো. আবদুল জাহের, এএসআই মো. জহির হোসেন ও এএসআই রবিউল আলম।

এছাড়াও এ থানায় কর্মরত অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা বদলীর আবেদন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। ১০ জন অফিসার একযোগে ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে বদলীর আবেদন করলেও অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অফিসাররা নিজেদের মানিয়ে নিতে না পেরে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বদলির দরখাস্ত পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ করে থানায় কর্মরত বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে অন্যত্র যে কোনো থানায় বদলির আবেদন জমা দিয়েছেন। তবে কী কারণে তারা গণহারে বদলি চাচ্ছেন তা তিনি জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বদলি চাওয়া এক পুলিশ অফিসার বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকায় চলমান পরিস্থিতিতে সম্মানের সঙ্গে সরকারি অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণে আমরা সম্মান থাকতে কোম্পানীগঞ্জ থেকে অন্য থানায় বদলি হয়ে যেতে চাচ্ছি।

উল্লেখ্য, নোয়াখালী সদরের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী সদরের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি বন্ধসহ তাদের টেন্ডার বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে গত বেশ কিছুদিন যাবত সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আন্দোলন করে আসছেন। এ সময় তিনি নোয়াখালী ও ফেনীর নাম উল্লেখিত দুই নেতার সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।