অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্ত্রীসহ আমির খসরু মাহমুদকে দুদকে তলব

0
.

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া আমির খসরুর ভায়রা গোলাম সরোয়ারকেও তলব করা হয়েছে।

এ নিয়ে তৃতীয় দফায় আমীর খসরুকে তলব করেছে দুদক। এর আগে দুই দফায় তলব করলেও দুদকে হাজির হননি এই বিএনপি নেতা।

আজ মঙ্গলবার প্রধান কার্যালয় থেকে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক সেলিনা আখতার স্বাক্ষরিত পৃথক তলবি নোটিশে তাদেরকে আগামী ১ মার্চ দুদকে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নোটিশটি আমির খসরুর চট্টগ্রামের নিজ বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

গত ১৬ আগস্ট অবৈধ লেনদেন, মুদ্রা পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমীর খসরুকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ২৮ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। উচ্চ আদালতে রিট মামলা বিচারাধীন থাকার কারণ দেখিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ দুদকে এখন পর্যন্ত হাজির হননি। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চান।

দুদকের চিঠিতে অভিযোগ আনা হয়, তিনি বেনামে পাঁচতারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। চট্টগ্রামের প্রাক্তন সংসদ সদস্য আমীর খসরুর বন্দরনগরীর চকবাজার থানার মেহেদীবাগের বাসার ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠানো হয়।

তার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় তলব করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা কাজী শফিক। এর মধ্যে তলবের বিরুদ্ধে আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আমির খসরু। পরে হাইকোর্টে বিচারাধীন উল্লেখ করে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে দুদকে আবেদন করেন এই বিএনপি নেতা।

গত ৫ সেপ্টেম্বর আমীর খসরু মাহমুদকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর আমীর খসরু মাহমুদকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দুদকের তলব বৈধ বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেখানে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমির খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠি দেয় দুদক।