অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শিক্ষকের নির্মম পিটুনীর শিকার শিশু ইয়াসিনের পাশে মানবাধিকার নেতা আমিনুল হক

0
হাটহাজারী থানায় শিশু ইয়াসিনকে নিয়ে জন্মদিন পালন করছেন আমিনুল হক বাবু।

আমিনুল হক:

গতকাল রাত থেকে একটা ভিডিও ভাইরাল যেখানে দেখা যাচ্ছিলো একটা বাচ্চাকে অমানবিক ভাবে একজন মাদ্রাসা শিক্ষক মারছিলেন,রাতে একাধিক ফেইসবুক বন্ধু মেনশন দেওয়াতে চোখে পড়ে।রাতেই সিদ্বান্ত নিই আজ যাবো ঐ বাচ্চার খোজ খবর নিতে। এর মধ্যে আজ দুপুর ১২ টার দিকে চোখে পড়ে হাটহাজারীর মানবিক ইউএনও রুহুল আমিন ভাই তাকে দেখতে গিয়েছেন সাথে নিয়েছেন খেলনা,তার লিখায় আরো জানতে পারি বাচ্চাটার নাম ইয়াসিন এবং গতকাল ছিলো তার জন্মদিন। ইয়াসিন রুহুল আমিন ভাই এর কাছে আবদার করেন যেনো তারা দুই ভাই এর জন্য দুটো বন্দুক এবং একটি রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি পাঠান। আমি ভাবছিলাম ওর জন্য কি নিবো, রুহুল আমিন ভাই এর পোস্ট আমার কাজ সহজ করে দেই। আমি দুপুরে হাটহাজারীর দিকে রওয়ানা দেওয়ার আগে ইয়াসিন আর ওর ভাই এর জন্য দুটি খেলনা বন্দুক এবং একটি রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি ক্রয় করি।ইতিমধ্যে আমার সঙ্গী হয় Yasir RaFa  সহ কয়েকজন সংবাদ কর্নী।

.

একাধিক বর ভুল পথ পার হয়ে ইয়াসিন এর বাসায় পৌঁছাতে ৪টা বেজে যায়।গিয়ে দেখি বাসায় তালা, একটু আগেই নাকি তারা পুলিশ সহকারে হাটহাজারী থানায় গিয়েছে। এবার যাত্রা হাটহাজারী থানা।থানায় গিয়ে জানতে পারি ইয়াসিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে,তবে চলে আসবে।ইতিমধ্যে থানায় ওসি সাহেব এবং এএসপি সাহেবের সাথে আলোচনা করলাম, ইয়াসিন এর ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারা আমাকে জানালো পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। ইতিমধ্যে  ইয়াসিন এর জন্য কেক নিয়ে সাথে যোগ দেন সহযোদ্ধা রোটারিয়ান দিদারুল আলম,আরো যোগ দেন হাটহাজারী থেকে সি-প্লাস প্রতিনিধি মিজান।

 ইয়াসিন চলে আসলে তার মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে থানা কম্পাউন্ডে কেক কাটলাম এবং দুই ভাই এর হাতে উপহার তুলে দিলাম।

দূর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রায় সময় এ ধরনের নির্যাতনের খবর আমরা পত্রিকা সহ অনলাইনে দেখি। বলাৎকার এর ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখি। কয়টার বিচার হয় তার খবর রাখি না। মাঝে মধ্যে দুই এক জন নির্যাতন কারী গ্রেফতার হলে ও এক সময় জামিনে বেড়িয়ে পড়ে তারপর ম্যানেজ হয়ে যায়।

প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয় কিছু আলেমের অপরাধের দায়ভার সকল আলেম সমাজের নই,যার কর্ম তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।কিন্ত এই ধরনের অপরাধের ঘটলে অধিকাংশ মাদ্রাসা গুলোতে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার একটা প্রবনতা দেখা যায়। এটা নিন্দনীয়।

বাস্তবতা হলো দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হলে এ ধরনের শিশু নির্যাতন বন্ধ হবে না। এটাই বাস্তবতা।

লেখক: আমিনুল হক, মানবাধিকার নেতা।