অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বর্ষপূর্তি আজ

0
.

করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটির বর্ষপূর্তি হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ)। গত বছরের এইদিনে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওইদিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে এখনও চলছে সেই ছুটি।

মাঝখানে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে দেয়ার ঘোষণা আসে। কিন্তু ইতোমধ্যে সংক্রমণ ফের উর্ধ্বমুখী হয়েছে। যা আজ সোমবার (১৫ মার্চ) শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৭৩ জন। মারা গেছেন ২৬ জন। এটি গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু।

অভিভাবকরা বলছেন, এই অবস্থায় ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা বিরাজ করেছে। করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি ও পাশাপাশি নতুন বা পরিবর্তিত রূপের আবির্ভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। শহরাঞ্চলে বেশিরভাগ অভিভাবককে সন্তান নিয়ে গণপরিবহন বা রিকশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। যুবকদের আক্রান্ত হার আগের চেয়ে বেড়েছে। শিশুদের হার কম হলেও তারা ভাইরাস-বাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে।

এদিকে, সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে, তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।তবে শঙ্কা এবং সংশয়ের মধ্যেই ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি অব্যাহত আছে। এর অংশ হিসাবে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যারা ৪০ বছরের কম বয়সী তাদের টিকাসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ও অ্যাপসে যুক্ত করতে বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র (নম্বর) সংগ্রহের কাজ চলছে। আজকের মধ্যে তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানোর তারিখ নির্ধারিত আছে।

জানা গেছে, প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ২০ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের যেসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটে আছে সেগুলোকে সহায়তার চিন্তা করছে মাউশি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতি নিতে আর্থিক সংকটে আছে। তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৮ বছর থেকে এর বেশি বয়সি শিক্ষক ও অশিক্ষক জনবল এবং শিক্ষার্থী আছে অন্তত ৫২ লাখ ১০ হাজার। অপরদিকে এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ লাখের মতো মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী। অনাবাসিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ পরিকল্পনার বাইরে আছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ লাখ ৫৪ হাজার শিক্ষকের টিকাদান কার্যক্রম চলছে।