অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত আটক

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার ব্যাক্তিগত সহকারী মারুফুল ইসলাম ও নগর বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলীকে আটক করা হয়।

আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালী থানা পুলিশ নগরীর পাঁচলাইশ থানার প্রবর্তক এলাকায় অবস্থিত ডা. শাহাদাত হোসেনের মাালকানাধীন ট্রিটমেন্ট হসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।

.

এরআগে বিকেল ৪টার দিকে মহানগরী বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় নগরীর কাজির দেউড়ি থেকে লাভলেইন পর্যন্ত নুর আহম সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির কর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেল রিকশাভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বিএনপি কর্মীরা চলে যাওয়ার পরপরই পুলিশ বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবন ঘেরাও করে মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনিসহ অন্তত ১৫ জনকে আটক করে।সংঘর্ষে পুলিশ সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং নেতাকর্মীদের লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। পুলিশের হামলায় ১৫জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ এবং অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের নিরাপদ স্থানে পার্টি অফিসের ভিতরে সভা করতে বলেন। এনিয়ে তারা পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিভিন্ন গাড়িতে আগুন দেয় এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। তিনি বলেন আমি নিজেই এবং আমার ৩ পুলিশ আহত হয়েছে।

জানাগেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করতে গেলে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং সুবর্ণ জয়ন্তীতেও গুলি করে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। তারই অংশ হিসেবে বিএনপি সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের সাথে এ সংঘর্ষ হয় বলে বিএনপি দাবী করেন।