অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবি’র ভর্তি পরীক্ষায় সম্মানী নেন নি শিক্ষকরা

0

download-1প্রশ্নেপত্রেই উত্তর চিহ্নিত ছিল এমন অনিয়মের অভিযোগে বাতিল হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধিভুক্ত ‘সি-৩’(বিজ্ঞান শাখা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে দ্বিতীয়বারের মতো এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন প্রকার সম্মানি নেন নি।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববদ্যালয়ের ব্যবসায় ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন কক্ষে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি জানান, স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কোন ধরনের অঘটন ঘটে নি। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য কোন শিক্ষক ই প্রাপ্য সম্মানি নিতে অস্বীকৃতি জানান। তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান মনে করে এ সম্মানী নেয়া থেকে বিরত থেকেছেন।

তিনি আরো জানান, আমরা কিছুটা হিলেও তাদের সম্মানী নিতে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা বলেন, ‘আমরা সম্মানীর জন্য কাজ করি না, এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রেপুটেশনের’ বিষয়। এর আগে কারিগরি ত্রুটির কারণে যে ভুল টি হয়েছে সে দায়িত্ব বোধ থেকেই আমরা আজ পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছি’।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কাছে অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের স্থান। এর আগের পরীক্ষায় সম্মানী নিলেও পুনরায় অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সম্মানী নেয়া থেকে বিরত থেকেছেন বলে জানান।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে ‘সি-৩’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্রে ঝাপসা জালিয়াতির অভিযোগ উঠে।এ নিয়ে প্রশ্নপত্রে উত্তর চিহ্নিত ছিল অভিযোগ করে সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।

পরে পরীক্ষার সাক্ষাৎকার স্থগিত করে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড.ফরিদ উদ্দীন আহমদ ও সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দীন চৌধুরীকে নিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রশ্ন জালিয়াতির বিষয়টিকে কারিগরি ভুল বলে আখ্যায়িত করে পুনঃপরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।