অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নারায়ণগঞ্জে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবি

0
ফাইল ছবি।

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। রোববর সন্ধ্যায় মালবাহী একটি কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চডুবিতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমভি রাবিতা আল হাসান নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচল করতো। সন্ধ্যায় এটি নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

নদীর তীরে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে লঞ্চটি একপাশে কাত হয়ে ডুবে যায়। ওই সময় কিছু যাত্রী লঞ্চ থেকে বের হয়ে সাতঁরে তীরে উঠার চেষ্টা করেন। তবে ঝড়ের কারণে নদীর তীর থেকে কেউ ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের সহায়তা করতে যেতে পারেননি। কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের কাজে বিঘ্ন ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর বাবুল মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে এতথ্য জানিয়েছিলেন, আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়লা ঘাট এলাকায় লঞ্চটি ডুবে গেছে।

সাঁতরে তীরে উঠা লঞ্চের যাত্রী মোহন বেপারী বলেন, তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের রিকাবী বাজারে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লঞ্চটি নারাযণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।

মোহন বেপারীর দাবি, লঞ্চে দুই থেকে আড়াইশ যাত্রী ছিলেন। তিনিসহ ৪০-৫০ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন।

নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, লঞ্চডুবির খবর তিনি পেয়েছেন। তবে ঝড়ের কারণে উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি।