অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নামানোর পরামর্শ

0
.

মহামারি করোনাভাইরাস রোধে আসন্ন লকডাউনে শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও আর্মড ফোর্স, সরকারের এজেন্সিগুলোকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নামানোর দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সোমবার সিপিডি আয়োজিত ‘কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ: কিভাবে সামলাবো’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এ দাবি জানান গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, আমরা জানি ইতিমধ্যেই সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সুতরাং এর আলোকে এখন স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কলকারখানায়, বাজারে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক পরা সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, এজন্য (স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে) আর্মড ফোর্স, সরকারের এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করতে হবে। সরকারের যেসব এজেন্সি রয়েছে, সেখানে লোকবল কম, প্রয়োজনে অন্যান্য এজেন্সি থেকে লোকবল নেয়া যেতে পারে। এলাকাভিত্তিক জোন ভাগ করে পর্যবেক্ষণ করা, যে মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে কি না।

তিনি বলেন, প্রয়োজনবোধে সেনাবাহিনী ও আর্মড ফোর্সকে ব্যবহার করা যেতে পারে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। পরিপালনগুলো কঠোরভাবে শিল্প-কারখানা হোক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোক, এমনকি সাধারণ মানুষের চলাচলেও এনফোর্সমেন্টের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটা এনফোর্সমেন্ট না হলে জারিমানা, এমনকি সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলে প্রতিষ্ঠান বা কলকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার মতো ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা এই কর্মকর্তাদের দেয়া যেতে পারে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক রেজা চৌধুরী, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর, সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ’র নতুন সভাপতি ফারুখ হোসেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনা শেষে সারসংক্ষেপ তুলে ধরে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আলোচনায় সুপারিশগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো- স্বাস্থ্যবিধি, চিকিৎসা এবং অন্যান্য সহায়তা।

স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে অনেকে বলেছেন জনসম্পৃক্ততা বড়ানোর জন্য। মাস্ক পরা এবং মাস্ক আরও বেশি পরিমাণে বিতরণ করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম না হাওয়ার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ এসেছে।’