অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আজ থেকে চবিতে লাগাতার অবরোধের ডাক

0
12309971_1080773771963003_8799242021274489393_o
.

ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিস্থিতি আবার অশান্ত হয়ে উঠছে। শাটল ট্রেন ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ার পর এবার চবিতে আজ রবিবার থেকে লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ।

দিয়াজ ইরফান চৌধুরী মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৫ দফা দাবীতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে এ অবরোধের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার রাতে সংবাদপত্রে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.ফিল. এর ছাত্র, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক, চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক, আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ভাই এর হত্যার বিচার ও নিন্মে উল্লেখিত দাবি সমূহ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ নভেম্বর রোজ রবিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সর্বত্মাক অবরোধ ঘোষণা করা হল।

দাবি সমূহ

১। দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যার সুষ্টু তদন্তপূর্বক আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যার সুষ্ট তদন্তের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার চৌধুরীকে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে দ্রুত অপসারণ ও চাকুরিচ্যুত করতে হবে।

৩। দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার সকল আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করতে হবে।

৪। পূর্বের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন বাতিল করে পুনরায় ময়না তদন্ত করতে হবে।

৫। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইট এলাকায় নিজ বাসার কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি বিশ্ববদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এদিকে ময়না তদন্তের রিপোর্টে দিয়াজ নিজেই নিজেকে হত্যা করেছে মর্মে রিপোর্ট এলেও এটা মানতে নারাজ তার পরিবার ও সহকর্মীরা। তারা এটাকে পরিকল্পিত হত্যা দাবী করে এ ঘটনার জন্য চবি ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপকে দায়ি করেন।