সীতাকুণ্ডে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ফৌজদারহাটস্হ কালুশাহ নগর এলাকায় অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু‘গ্রপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ অনিদিষ্টকালের জন্য হোস্টেল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
সোমবার বিকেলে সংঘর্ষেরর এ ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফৌজদারহাট কালুশাহ নগর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে হোস্টেল ও ভর্তি বাণিজ্যের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের পুরাতন ও নতুন কমিটির মধ্যে অন্ত:কোন্দল চলে আসছিল।
সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির ফরহাদ ও ইয়াসিন গ্রুপের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটির সাব্বির ও আহসান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের চলাকালে ছাত্রলীগের ১৫ জন আহত হয়। আহতবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
আহতরা হলো মিঠুন, পারভেজ, রাম প্রসাদ, কবির, রিয়াল, রিফাত, অন্তর, সুজন, মাসুদ, ফারজিন, রিয়াদ, সুজন, সাব্বির ও আহসান। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পরপর ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ক্যাম্পাসের অবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য সীতাকুণ্ড থানার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সংর্ঘষের পর কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা ডেকে ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম ও হোস্টেল অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সন্ধ্যার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে (আইএইচটি) সহকারী পরিচালক ডা. এ.এস.এম আবদুল মোমেন বলেন, ক্যাম্পাসে আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে অনিদিষ্টকালের জন্য হোস্টেল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে সন্ধ্যার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিই।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
কেহ মরে নাই?
ওদের ঘটনায় ’আহত’ শব্দটা “নিউজ ভ্যালু” হারিয়ে ফেলেছে !
Halara only fight each other