অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাজেট অবাস্তবায়নযোগ্য এবং কল্পনাপ্রসূত : ডা শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত ৬ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট শুনতে ভালো লাগছে, কিন্তু সোয়া ২ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এটা চ্যালেঞ্জিং। এত বড় ঘাটতি বাজেট দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। এটি একেবারেই অবাস্তবায়নযোগ্য একটি কল্পনাপ্রসূত বাজেট। এটা কথার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশেষ করে এই মহাদুর্যোগকালে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ালেও দুর্নীতি আরো বেড়ে যাবে। বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কার্যকর সুশাসন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বস্তরে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বাজেটে। এই বাজেট মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার ৭ দশমিক ২ শতাংশকে কল্পনাপ্রসূত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমদানি, রপ্তানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান প্রভৃতি সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো আলোচনা করলেই স্পষ্ট যে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। যা কঠিন এবং অসম্ভব। জিডিপি ও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল।

তিনি বলেন, করোনাকালে দিন আনে দিন খায় এ শ্রেণির মানুষের জন্য এবং বেকারত্ব মোকাবিলায় কোনো গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাজেটে কর্মহীন প্রবাসীদের দেশে পুনর্বাসন ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলার কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।

তিনি বলেন, এই বাজেটে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বাজেটের বড় অংশ মেগা প্রকল্পগুলোকে দেওয়া হয়েছে, যেগুলো এরই মধ্যে দুর্নীতির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ। দুর্নীতির যে ধারা চলমান, সেটাকে অব্যাহত রাখাই এর কারণ। তাছাড়া কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাজেটে দেওয়া হয়েছে, সেটাও দুর্নীতিকে চলমান রাখার আরেকটি প্রয়াস মাত্র। এই মুহূতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য যে সব খাতকে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, তা এ বাজেটে নেই। তাদের চিন্তাই হচ্ছে নিজেদের লোকদের তুষ্ট করা, তাদের পকেট ভারি করা।