অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শামসুল হকের মৃত্যুতে খসরু শামীম শাহাদাত বক্কর ও সুফিয়ানের শোক

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য ও যুবদলের কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টির সা‌বেক সদস্য মো.শামসুল হক মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল ৯ টা ৩০ মি‌নি‌টে হৃদ‌রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে ঢাকা উত্তরার এক‌টি বেসরকারী হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন অবস্থ‌ায় ই‌ন্তেকাল ক‌রেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি মা, স্ত্রী, ৩ ছেলে, ভাই বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, আত্মীয় স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।

এদিকে শামসুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন।

এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, শামসুল হক বিএনপির একজন দায়িত্বশীল ও কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত। তিনি ৮০ র দশকে চট্টগ্রামের একজন দায়িত্বশীল যুবনেতা ছিলেন। চট্টগ্রামে যুবদলকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে তিনি গুরুতপূর্ন ভূমিকা রেখেছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। তার মৃত্যুতে বিএনপি দলের একজন যোগ্য নেতাকে হারালো। তার মৃত্যুতে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হবে তা সহজে পূরন হবার নয়। দলের প্রতি তার অবদান বিএনপি আজীবন স্বরণে রাখবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শামসুল হকের মৃত্যুর সংবাদে তার পরিবার পরিজনের মতো আমরাও গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। তিনি যুবদলকে সুসংগঠিত করে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী, সৎ, সাহসী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। মরহুম শামসুল হক অমায়িক আচরণের অধিকারী ছিলেন। এজন্য তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শামসুল হক ছাত্রজীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। এই জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতা ও তার পরিবারকে সইতে হয়েছে সরকারি নানা শারীরিক ও মানসিক জুলুম-নির্যাতন। তাঁর এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার, আত্মীয়স্বজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

খবর-প্রেসবিজ্ঞপ্তি।