অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কাদের মির্জার গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ (ভিডিও)

0
.

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে তার কর্মী সমর্থক ও অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।

আজ শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ ঘটনায় কাদের মির্জার সম্পৃক্ততার অভিযোগে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কাদের মির্জার বিচার দাবি করে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা তার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।

এ সময় চরকাঁকড়া টেকের বাজারে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি চালালে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫) ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম চয়ন (১৮)। অন্যদের নাম এখনও জানা যায়নি।

গুরুতর আহত চয়নকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

আহত সবাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাদলের অনুসারী।

সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধ করে দেওয়া হয়েছে বসুরহাট টু বাংলাবাজার-চাপরাশির হাটের প্রধান সড়ক এবং উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক শহর বসুরহাট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সামনে বসুরহাট টু দাগনভূঞা সড়কে এই ঘটনা ঘটে। অপরদিকে এ হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্চের বিভিন্ন ইউনিয়নে এখনো কাদের মির্জার বিরোধী মিছিল করছে বাদল অনুসারীরা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, আমরা সড়ক অবরোধের কথা শুনেছি। তবে দ্রুত আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আ’লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রহনা করে। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল,ডাকাত মাসুদ,খান,শিহাব,সজল,আরিফ,ওয়াসিমসহ ৪০-৫০জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতি রোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন,হামলাকারীরা প্রথমে তার গাড়ির পিছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতি রোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা পাটিয়ে দেয়,পা ও বুকের হাড় ভেঙ্গে দেয় এবং কানে গুরুত্বর জখম করে। এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।