অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বৃক্ষ রোপনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে: ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গাছ মানুষের পরম বন্ধু। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী গাছের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারাদেশে অবাধ ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে। এর ফলে নানাধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই বৃক্ষ রোপনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৭জুন) দুপুরে দৈনিক দিনকাল চট্টগ্রাম ব্যুরোর উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দশনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

তিনি বলেন, গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান। পরিবেশ না বাঁচলে তো আমরাও ভালভাবে বাঁচতে পারবো না। মানুষ প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতিকে ভালোবাসা আমাদের দায়িত্ব। দেশবাসির এবং দলের নেতা কর্মীদের প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গাছ লাগাতে আহবান জানিয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা পালন করার আহবান জানান।

ডা. শাহাদাত বলেন, এখন বর্ষাকাল। গাছের চারা রোপনের উপযুক্ত সময়। তাই সবাইকে নিজ নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায়, শিক্ষা প্রতিষ্টান, সড়কপথ ও খালি জায়গায় প্রচুর পরিমানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপন করে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে। বৃক্ষ মানুষের কত উপকার করে তা বলে শেষ করা যাবে না। বৃক্ষের দেয়া অক্সিজেন ছাড়া পৃথিবীতে কোনো প্রাণি এক মুহুর্তও বাঁচতে পারবে না। বৃক্ষ মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও ওষুধের ব্যবস্থা করে।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করতে এবং বন্যা প্রতিরোধে বৃক্ষের ভূমিকা অনেক। বনাঞ্চল না থাকলে পৃথিবী হয়ে ওঠত মরুভূমি এবং মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য প্রতিদিন বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। বড় বড় গাছ বজ্রপাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে বৃক্ষ নিধন নয়, বৃক্ষ রোপনই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই আসুন গাছ লাগাই, গাছের পরিচর্যা করি এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট হই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম.এ আজিজ, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক এম.এ হালিম, নগর বিএনপির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, দৈনিক দিনকাল চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল, মো. ইদ্রিস আলী, সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, খোরশেদ আলম কুতুবী, যুবদল নেতা আবদুল জলিল, আসাদুর রহমান টিপু, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, আনোয়ার হোসেন জুনু, কামাল হোসেন প্রমুখ। পরে ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করেন।