অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণকালে ডা. শাহাদাত হোসেন

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে অনিশ্চয়তার সংবাদে সমগ্র জাতির সাথে চট্টগ্রামবাসীকেও গভীর হতাশা ও দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত করেছে। সরকার এক ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানকে টিকা সরবরাহের একচেটিয়া সুবিধা দিতে গিয়ে সমগ্র জাতিকে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রথম থেকেই ভারতের পাশাপাশি চিন ও রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা কেনার পরিকল্পনা নিলে আজ এ নিদারুণ অনিশ্চয়তায় পড়তে হতো না। আজকে বেশি টাকা দেওয়ার পরও টিকা পাচ্ছে না সরকার। সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আজকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কারন যারা স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত, টিকার সঙ্গে জড়িত এরা সবাই দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে তারা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির সব সীমা অতিক্রম করেছে সরকার। দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে তারা মূল্যহীন করে ফেলেছে। তাই তিনি করোনা মোকাবেলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পড়ার আহ্বান জানান।

তিনি আজ বুধবার (২৩ জুন) বিকালে নগরীর প্রর্বত্তক মোড়, চট্টগ্রাম মেডিকেল ও পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ কালে এসব কথা বলেন।

.

তিনি আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ও সুপরিকল্পিত নীতি প্রণয়ন না করার কারণে বিভিন্ন সময় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে ন্যূনতম ব্যবস্থাপনা কৌশল গড়ে তুলতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার। আজকে সাধারণ মানুষ করোনার টিকা পাচ্ছে না। প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধারা টিকার জন্য আন্দোলন করছে। বিদেশগামীরা টিকার জন্য হাহাকার করছে। তারা যদি টিকার সনদ নিয়ে যেতে না পারে তাহলে তারা কাজে যোগ দিতে পারবে না। করোনার এই টিকার জন্য তাদের চাকরি হারানোর আশংকা তৈরী হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বিলম্বে এসেছে। সরকার আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের অনেক সময় পেয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। সরকার এ সময় শতবার্ষিকী উদযাপনসহ নানা জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানমালা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। করোনার মধ্যেই বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন করা হলো। এই অনির্বাচিত অবৈধ সরকার জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নেই ব্যস্ত ছিল বেশি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হাজী নবাব খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মহসিন কবির আপেল, যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন আলো প্রমূখ।